রাবি: প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার দাবি এবং নারী কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এসময় ছাত্রদলের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
অবস্থান কর্মসূচিতে রাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, সর্দার জহুরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা ছাত্রদল সবসময় চেষ্টা করি গতানুগতিক ধারার বাইরে রাজনীতি করতে। আমরা শিক্ষার্থীদের পালস বোঝার চেষ্টা করি৷ প্রথম বর্ষের অনেকেই আমাদের অনুরোধ করেছে যেন তারা রাকসুতে ভোটাধিকার পায় এটা আমরা নিশ্চিত করি৷ সে কারণেই আমাদের এই আন্দোলন। এখানে আমাদের নিজেদের কোনো স্বার্থ নেই। একই দাবিতে আজ আমরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।'
রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গতকাল যে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের নারী কর্মীদেরও ছাড় দেয়নি গতকাল। তারাও হেনস্তার শিকার হয়েছে। প্রশাসনকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করতে হবে। আর আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। দাবি মেনে নিলেই আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। এছাড়া এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে।'
গতকাল রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রদলের কয়েকজন নারী কর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
রাবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিহা আলম মুন্নি বলেন, 'গতকাল আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এরপর হঠাৎ একদল শিক্ষার্থী এসে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আমাদের সাথে তর্ক করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলতে গেলে কয়েকজনকে হেনস্তা করা হয়।'
গতকাল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসু নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও, ভাঙচুর ও পরবর্তীতে তালাবদ্ধ করেন রাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, ফাহিম রেজা, মেহেদী সজীবসহ আরও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী তালা ভাঙতে যায়। পরবর্তীতে শিবিরের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনায় ৬ জনের মতো আহত হয়।
প্রথম বর্ষের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে, উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, 'এটি নিয়ে আজ সকালে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বসেছি। এক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রেখেই কোনোভাবে করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।'
Comments