ঢাকায় সাফের অ্যালামনাই পুনর্মিলনী
সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশনের (সাফ) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকার গুলশান ক্লাবে দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানে উচ্চশিক্ষা শেষ করে আসা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা তারা তাদের পরিচয় তুলে ধরেন এবং স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং সাফের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ইমেরিটাস চেয়ার ড. কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, 'সার্কের উদ্দেশ্য দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাই সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সাফ অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। সাফ স্কলারশিপের উদ্দেশ্য হলো আঞ্চলিক সম্প্রীতি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তৈরি করা।'
সাফের বাংলাদেশ চেয়ার ফারুক সোবহান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সমাপনী বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাফের ভাইস চেয়ার খুশি কবির।
ফারুক সোবহান বলেন, 'ইউনেস্কোর শুভেচ্ছা দূত মদনজিৎ সিং ২০০০ সালে ৮টি স্বায়ত্তশাসিত অধ্যায় নিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে সাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাফের মূল উদ্দেশ্য হলো ইউনেস্কো মদনজিৎ সিং ইনস্টিটিউশন অব এক্সিলেন্সের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রচার করা।'
অনুষ্ঠানে কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী তাদের চিন্তা তুলে ধরেন এবং গর্বিতভাবে স্বীকার করেন যে তারা সাফ স্কলারশিপের মাধ্যমে অত্যন্ত উপকৃত হয়েছেন। এটি তাদের পেশাগত উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, সি.এম. শফি সামি এবং মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Comments