এসএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি, কোচিং সেন্টার বন্ধ ১৩ ফেব্রুয়ারি-১২ মার্চ

সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে শুরু হবে। 
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি-ভোকেশনাল ও দাখিল-ভোকেশনাল পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে।

আজ রোববার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিং কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে শুরু হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশের লক্ষ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। 

অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র নেওয়া ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরাও ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস ব্যবহার করা যাবে না। 

সভায় আরও জানানো হয়, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্রসচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। 

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার সইসহ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট আইন অনুযায়ী খোলা হবে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নজরদারি জোরদার করবে। 

প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে। 

এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

এসব নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে জানাতে হবে।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


 

Comments