শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
চলমান তাপদাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় কারণে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এ পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে।
আইনি নোটিশে অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, 'উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ, সে দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।'
আইনি নোটিশে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড তাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি সৃষ্টি করেছেন।
'শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো তাপদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না,' আইনি নোটিশে খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরেও এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এই তিন অধিদপ্তরকে তিনি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
যদি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয়, তবে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত গরমের সময়টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মর্নিং শিফট হবে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এছাড়া মূল্যায়নের বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারি করতেও নোটিশে বলা হয়েছে।
আইনি নোটিশে সাড়া না দিলে প্রচলিত আইন অনুসারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
Comments