পাবনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় গতকাল রাতে। ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের পর থেকে মাসুমবাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্রিপা সিন্ধু বালা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মাসুম বাজার এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি দুই গ্রুপের মধ্যে পাবনা মহিলা কলেজ এলাকায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান ও তার সমর্থকদের ওপর সিফাতের সমর্থকরা হামলা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সজিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতদের মধ্যে  রাফি, আরাফাত, মিলন, রিহাব, আকাশ,  শান্ত, রঞ্জু, তানজীদ, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, মেহেদি ও সিফাতের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারো তারা ঝামেলায় জড়িয়ে পরে। এটি স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মতায়েন করা হয়েছে, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus's 'Reset Button' call was not about erasing Bangladesh's proud history: CA office

He meant resetting the software, not the hardware created by 1971 Liberation War, statement says

2h ago