কুমিল্লায় কত নম্বর পেলো ইসি

গত বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে যে ভোট হলো; যাকে বলা হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা; সেই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন কত নম্বর পেলো? তারা কি টেনেটুনে পাস করলো? নাকি জিপিএ ফাইভ পেলো?

গত বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে যে ভোট হলো; যাকে বলা হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা; সেই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন কত নম্বর পেলো? তারা কি টেনেটুনে পাস করলো? নাকি জিপিএ ফাইভ পেলো?

প্রশ্নটা এই কারণে যে, সংবিধানের ৭ (১) অনুচ্ছেদ বলছে, প্রজাতন্ত্র বা রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের সেই মালিকানা কীভাবে নিশ্চিত হয়? জনগণ কীভাবে সেই মালিকানার প্রয়োগ করে? এর উত্তর হলো, ভোট। অর্থাৎ ভোটই একমাত্র মাধ্যম, যেখানে জনগণ তার ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পায়।

যখন ভোট থাকে না; যখন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে যান; যখন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার দেখেন যে তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে; যখন ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে যান—তখন সেই রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা থাকে না। তখন সেই মালিকানা সংবিধানের সাদা পৃষ্ঠায় কিছু কালো অক্ষরের সন্নিবেশ ছাড়া কিছুই নয়।

সুতরাং রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করতে চাইলে প্রথমেই এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয় বা রাষ্ট্রে এমন একটি ব্যবস্থা থাকতে হয় যেখানে জনগণ তার বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনায় যাকে অধিকতর যোগ্য মনে করবে তাকে কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন ছাড়া ভোট দিয়ে বাড়িতে পৌঁছানোর পরেও নিরাপদ থাকবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তি তার পক্ষের ও বিপক্ষের সকল নাগরিকের সুখে না হোক অন্তত দুঃখে ও দুর্দশায়, অসময়ে, বিপদে-আপদে পাশে থাকবেন। জনগণের কাছে তিনি একটি ভরসা ও আস্থায় পরিণত হবেন। কেননা, যে জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদের কাছে তিনি দায়বদ্ধ। তাদের কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য।

কিন্তু যদি তিনি জনগণের ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি হয়ে যান; যদি জনগণের ভোটের ওপরে তার জয়ী হওয়া না হওয়া নির্ভর না করে তখন সেই জনগণের বিপদে-আপদে তাদের পাশে না থাকলেও বা তার নির্বাচনী এলাকার সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকর উদ্যোগ না নিলেও তার মনে ভয় তৈরি হয় না। কারণ তিনি ভাবেন, জনগণের ভোটে নয়, বরং কোনো ব্যক্তি বা দলের পছন্দে তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। অতএব তার জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা কেবল ওই ব্যক্তি ও দলের প্রতি। এভাবে জনগণ ও জনপ্রতিনিধির মধ্যে একটা সুস্পষ্ট ব্যবধান রচিত হয়—যা প্রকারান্তরে জনগণ যে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক, সংবিধানের সেই বিধানটি অকার্যকর হয়ে যায়।

অতএব, রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করা তথা জনপ্রতিনিধিদেরকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সর্বোপরি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সেই জায়গা থেকেই প্রশ্নটা এই যে, ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কার জয় হলো? জনগণের মালিকানা সেই নির্বাচনে কতটা নিশ্চিত করা গেলো? যে ভোটকে বলা হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন কত নম্বর পেলো?

বাহার বিতর্ক

এই নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, যাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ মানেননি। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবজ্ঞা করা হলো কি না; তাদের সাংবিধানিক ও আইনি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেলো কি না এবং তারচেয়েও বড় প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন একজন সংসদ সদস্যকে তার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিতে পারে কি না?

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য বাহার আইন ভেঙে দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠলে তাকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কাজ না হওয়ায় তাকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রথম দফা সতর্কবার্তা পেয়েই সংসদ সদস্য বাহার হাইকোর্টে যান। তাকে নির্বাচনের প্রচারে সুযোগ না দেওয়া কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত থেকে রুলও পান তিনি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ ধারায় স্পষ্টত বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। তবে তিনি ওই এলাকার ভোটার হলে কেবল ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন।

এই বিধিমালার ১৩ নম্বর সংজ্ঞায় সরকারি সুবিধাভোগীদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে সংসদ সদস্যও রয়েছেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন, তাহলে তাকে এলাকা ছাড়তে বলার আইনি অধিকার তাদের রয়েছে। কিন্তু কুমিল্লার সংসদ সদস্য বাহারকে এলাকা ছাড়তে বলার পরেও তিনি যখন সেই নির্দেশ বা অনুরোধ মানলেন না, তখন গণমাধ্যমের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, 'ইসির কিছু আইনগত ক্ষমতা আছে। কিছু ক্ষমতা আংশিক, কিছু ক্ষমতা পরিপূর্ণ। কোনো কোনো নির্বাচনে কারো কারো প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। আমরা তাকে (সংসদ সদস্য বাহার) চিঠি দিয়েছি। বলেছি—স্থান ত্যাগ করার জন্য। তিনি ত্যাগ করেননি। যদি তিনি অনুরোধ না মানেন, তাহলে ইসির তেমন কিছু করার থাকে না।'

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৩১ ধারায় যেখানে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে সরকারি সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যদি বিধিমালা লঙ্ঘন করেন তাহলে তার ৬ মাসের কারাদণ্ড অনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে, সেখানে সিইসি কী করে বললেন যে, তাদের কিছু করার থাকে না?

যুক্তিটা হলো এই যে, যেহেতু সংসদ সদস্য বাহার ইসির চিঠি পেয়ে আদালতে গেছেন এবং আদালত তার পক্ষে রুল দিয়েছেন, ফলে সেটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যে কারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করে নির্বাচন বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত আদালত দিতে পারেন কি না—সেই বিতর্কও রয়েছে। না হলে ইসির বিধিমালার কোনো কার্যকারিতা থাকে না। ভবিষ্যতেও ইসি সরকারি সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তিকে যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ বা অনুরোধ করে, তাহলে তিনিও সেটি না মেনে আদালতে যাবেন এবং তার পক্ষে রুলিং নিয়ে আসবেন। এটা সামগ্রিকভাবে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতাকেই বরং প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

বাস্তবতা হলো, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট সুযোগ থাকে এবং কুমিল্লায় সংসদ সদস্য বাহার যে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, সেটি গণমাধ্যমেও এসেছে। সুতরাং একজন আইনপ্রণেতা হয়েও তিনি যে আইন ভাঙলেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করলো, সেটিই সম্ভবত কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক।

নৌকা বনাম এন্টি নৌকা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বলতে যা বুঝায়, কুমিল্লা সিটিতে সেটিই হয়েছে। মাত্র ৩৪৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। কিন্তু বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী না দিলেও সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তারা ২ জনই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ভোটে অংশ নিয়েছেন এবং তারা ২ জন মিলে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৬ ভোট।

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিলেও এটি ধরে নেওয়াই সঙ্গত যে, সাক্কু ও নিজাম—২ জনই বিএনপির তথা আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোট পেয়েছেন। মনিরুল হক সাক্কু এর আগে ২ বার কুমিল্লা সিটির মেয়র ছিলেন। ফলে দলের বাইরেও তার ব্যক্তিগত অনেক ভোট রয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের অনেক ভোটও তিনি পেয়েছেন। সেই হিসেবটি মাথায় রেখেও সাক্কু ও নিজামের ভোট যুক্ত করলে নৌকার চেয়ে বেশি হয়। তার মানে কুমিল্লায় যদি বিএনপি এককভাবে কাউকে প্রার্থী দিতো তাহলে কি ভোটের ফলাফল ভিন্ন হতো? কুমিল্লায় যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও কি এরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে?

এটা ঠিক যে, স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের অনেক তফাৎ। স্থানীয় নির্বাচনের দলীয় প্রতীকের বাইরেও প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজ, এলাকায় প্রভাব, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি সমীকরণ থাকে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনটি হয় মূলত প্রতীকে। ফলে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রধান ২ প্রার্থীর মধ্যে ভোটের যে ব্যবধান, জাতীয় নির্বাচনে সেটি হবে কি না; কুমিল্লায় যা হলো সেটি দেশের অন্য সিটি করপোরেশন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সকল আসনে হবে কি না—তা বলা কঠিন। তবে কী হবে না হবে তারচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন যে একটা উৎসব, নির্বাচন যে একটা উত্তেজনাপূর্ণ খেলা এবং যে খেলায় সবাই অংশ নিতে চান, সেই খেলাটি কুমিল্লায় কেমন হলো? ভোটের ফলাফল শেষ মুহূর্তের কিছু উত্তেজনা বাদ দিলে বলা যায়, অনেক দিন পরে একটি উৎসবমুখর ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে—যা খুবই আশার সঞ্চার করে। এই ধারাটি যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বজায় থাকে, তাহলে সেটি দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যে বিতর্ক হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যাবে।

ইভিএম

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন আরেকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটি হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম। যে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে অনেক ধরনের শঙ্কা ও অনাস্থা বিদ্যমান—কুমিল্লায় সেই আস্থার পরীক্ষায় ইভিএম উত্তীর্ণ হতে পারলো কি না?

প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটকক্ষে (বুথে) ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়, যা ভোটারদের মধ্যেও আস্থার জন্ম দেয়। কিছু বয়স্ক মানুষ ছাড়া কেউ ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েননি বা বুথের ভেতরে সহায়তার নামে কেউ তাদের সঙ্গে ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। সেই হিসেবে এটা বলা যায় যে, ইভিএম নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, কুমিল্লায় সেটি কাটানো গেছে।

তবে বাস্তবতা হলো, সিটি করপোরেশন তথা শহরাঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে বিরাট অংশই যেহেতু তুলনামূলকভাবে অগ্রসর এবং ডিজিটাল ব্যবস্থায় অভ্যস্ত, ফলে এসব এলাকায় ইভিএম নিয়ে হয়তো খুব বেশি বিপত্তি হয় না। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করলে সেটি কতটা কার্যকর হবে এবং দলমত ও বয়স নির্বিশেষে সকলের কাছে এটি আস্থা অর্জন করতে পারবে কি না—তা এখনই বলা মুশকিল। তবে ইভিএম নিয়ে যে ধরনের ম্যানিপুলেশনের শঙ্কা ছিল, কুমিল্লায় সেই অভিযোগ কেউ করেননি।

পরিশেষে, এসব ঘটনাপ্রবাহ ও বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে পাঠক নিজেই ঠিক করতে পারেন যে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ১০০-তে কত পেলো এবং এটি যদি 'মর্নিং শোজ দ্য ডে' হয় তাহলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি কত পাবে—তারও হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন।

তবে নির্বাচনে যে ব্যক্তি বা দলেরই জয় হোক না কেন, মূল বিজয়টা আসলে ভোটারের, জনগণের। মূল বিজয় নির্বাচনী ব্যবস্থার। বিজয়টা গণতন্ত্রের। নির্বাচনে ইভিএম থাকবে নাকি থাকবে না—সেটি হয়তো খুব বড় তর্ক নয়। কিন্তু ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল দল ও প্রার্থী অংশ নিতে পারলেন কি না এবং ভোটের মাঠে সবাই সমান সুযোগ পেলেন কি না; ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেন কি না এবং ফলাফল ঘোষণার পরে সেটি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হলো কি না—সেটিই হচ্ছে একটি ভালো নির্বাচনের মানদণ্ড। অতএব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই সকল মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবে—সেই প্রত্যাশা থাকলো।

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Qatar ink 10 cooperation documents

Bangladesh and Qatar today signed 10 cooperation documents -- five agreements and five MoUs -- to strengthen ties on multiple fronts and help the relations reach a new height

33m ago