পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীরা কেন দুর্ভোগে?
পাসপোর্ট সেবার মান নিয়ে প্রবাসীদের ভোগান্তির অভিযোগ বহু পুরনো। কিন্তু তাই বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবাসে পাসপোর্ট সেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছে এমন ঘটনা অতীতে শোনা যায়নি। কিন্তু এবার সেটাও হলো। বাংলাদেশের জন্য এই ঘটনা নিশ্চয়ই লজ্জার!
৯ আগস্ট মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে পাসপোর্ট গ্রহণ আবেদন বন্ধ থাকবে। পুনরায় সার্ভার সচল হলে বিষয়টি অবহিত করা হবে।
বিদেশে পাসপোর্ট পেতে গত কয়েকমাস ধরেই বেশ ভোগান্তিতে ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দুই-তিন মাসেও পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিল না। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই কম-বেশি এই সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু পাসপোর্ট গ্রহণের আবেদন নেওয়া বন্ধ করার নজির অতীতে কোথাও আছে কি না জানা নেই।
শুধু মালদ্বীপ নয়, প্রায় একইরকম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে মালয়েশিয়াতেও, যেখানে এখন অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচি চলছে। আর এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে হলে সবার আগে লাগবে বৈধ পাসপোর্ট। যথাসময়ে এই পাসপোর্ট না পেলে বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না প্রবাসীরা। ফলে ঠিকানা হবে জেল। অথচ সেই মালয়েশিয়াতেও পাসপোর্ট পেতে ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের।
দেশটিতে যথাসময়ে পাসপোর্ট দিতে না পেরে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ৭ আগস্ট নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রচুর পাসপোর্ট পাইপলাইনে জমা আছে। নিজেদের আওতা বহির্ভূত এই জটিলতার জন্য হাইকমিশন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাস ৩০ জুলাই আরেক নোটিশে জানিয়েছে, বাংলাদেশে টেকনিক্যাল সমস্যা থাকার কারণে ৮ জুনের পর যেসব পাসপোর্টের রি-ইস্যুর আবেদন করা হয়েছে, সেই পাসপোর্ট এখনো আসেনি। কাজেই পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, ২৮ জুন লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস এক নোটিশে জানায়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাসপোর্ট সার্ভারের সাময়িক সমস্যার কারণে দূতাবাসে যেসব পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পেতে বিলম্ব হতে পারে।
এই যে হাইকমিশন বা দূতাবাসগুলো মাসখানেক ধরে এসব নোটিশ দিচ্ছিল, তার মানে সংকটটা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। কোনো কোনো দূতাবাস তো এপ্রিল থেকেই ঢাকায় চিঠি পাঠিয়ে সংকটের কথা জানিয়েছিল। এমন গভীর সংকটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পাসপোর্ট অধিদপ্তর আগে থেকে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?
ব্যবস্থা নিলে হঠাৎ করে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি ছাপা বন্ধ হয়ে গেল কেন? তার আগেই কেন ব্যবস্থা নেওয়া গেল না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুসন্ধান জরুরি। কারণ পাসপোর্ট একটি রাষ্ট্রীয় সেবা। প্রবাসে যথাসময়ে এই সেবা পাওয়ার ওপর নির্ভর করে বহু প্রবাসীর ভবিষ্যৎ।
প্রবাসীদের জন্য একটি পাসপোর্ট কতোটা জরুরি, সেটা যারা সংকটে পড়েছেন কেবল তারাই বুঝবেন। বিদেশে পাসপোর্ট মানেই বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। ভিসা নবায়ন, ওয়ার্ক পারমিট থেকে শুরু করে সব কাজে এই পাসপোর্ট লাগে। এমনকি দেশে ফিরতেও এই পাসপোর্টের কোনো বিকল্প নেই।
এমন একটি বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রীয় এমন ব্যর্থতা কি কোনোভাবে মানা যায়? আর রাষ্ট্রীয় এই ব্যর্থতার কারণে প্রবাসীদের কেন ভুগতে হবে?
সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন অবশ্য নিজেদের কাঁধে কিছুটা দায় নিয়েছে। তারা নোটিশে বলেছে, যথাসময়ে পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণে কারো ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারা সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষকে ওয়ার্ক পারমিট বৃদ্ধির জন্য অনুরোধপত্র দেবে।
সিঙ্গাপুরের মতো একই ব্যবস্থা তো আর সবখানে হয়নি। মালয়েশিয়া থেকে একাধিক প্রবাসী জানিয়েছেন, যথাসময়ে পাসপোর্ট না পাওয়ায় ইতোমধ্যেই সেখানে নানা ধরনের ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
বহু বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছেন এমন এক প্রবাসী বলছিলেন, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরে। এর আগে আগস্টে শেষ হবে পাসপোর্টের মেয়াদ। তিনি আবেদন করে বসে আছেন। কিন্তু কবে পাসপোর্ট পাবেন সে ব্যাপারে হাইকমিশন কিছুই বলতে পারছে না। অথচ পাসপোর্ট না পেলে তাকে সবকিছু গুটিয়ে দেশে চলে আসতে হবে।
কিন্তু কেন সংকট এত তীব্র হলো? দেশ যখন ডিজিটাল হচ্ছে তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারের ধারণ ক্ষমতা কী করে শেষ হয়ে যায়? আর এই কারণে প্রবাসীদের কেন সমস্যায় পড়তে হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা জানা গেল, তা মোটামুটি পুরনো দুর্নীতি আর ব্যর্থতারই আরেক চিত্র!
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে এমআরপি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত জানলেও সময়মত সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ও ভিসা প্রকল্প শুরু হয়।
বাংলাদেশে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) কাজটি পেয়েছিল মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আইরিস করপোরেশন। সাম্প্রতিক সংকটের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা গেল, আইরিস করপোরেশনে সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি ছিল তাতে তাদের তিন কোটি পাসপোর্টের জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়া ও পাসপোর্ট তৈরির কথা ছিল।
জুন মাসে সেই তিন কোটি আঙুলের ছাপ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আর পাসপোর্ট ছাপা যাচ্ছিল না। কারণ কারো নতুন এমআরপি করতে হলে সার্ভার থেকে আগের পাসপোর্টের সঙ্গে তথ্য যাচাই হওয়ার কথা। কিন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবার সেটি হচ্ছিল না। ফলে পাসপোর্টও প্রিন্ট দেওয়া যাচ্ছিল না। আবার দেশে ই-পাসপোর্ট তৈরির সুযোগ থাকলেও বিদেশের কোনো দূতাবাসে এখনো ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হয়নি। ফলে কোনো বিকল্পও করা যাচ্ছিল না।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট সমাধানে ফের আইরিসের সঙ্গে আরও ৬০ লাখ এমআরপির বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এখন আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত বড় একটা সংকট আগে থেকে কেন বুঝতে পারলেন না নীতি নির্ধারকরা। সেই এপ্রিল মাসেই তো সংকটের কথা বলে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছিল। জুন মাসেই বিভিন্ন দূতাবাসে সংকটের তীব্রতা বাড়ে। তখন থেকে আর পাসপোর্টই ছাপানো যাচ্ছিল না। এতো কিছু জানার পরেও কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া গেল না? সরকারি এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে প্রবাসীদের কেন ভুগতে হচ্ছে?
অভিযোগ উঠেছে, জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোজ এবার ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজটি পায়। মূলত এরপর থেকেই আইরিস নানাভাবে অসহযোগিতা করছে। এমনকি এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টের তথ্য ইন্টিগ্রেশনের সময়ও তাদের সহযোগিতা পেতে কষ্ট হয়েছে।
কিন্তু এই অসহযোগিতা তো এবারই প্রথম নয়। বিভিন্ন সরকারি নথি ও দূতাবাস থেকে পাঠানো কাগজপত্র বলছে, অতীতেও আইরিশের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, সাবেক প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা এই প্রতিষ্ঠানের কাজের ব্যাপারে বার বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কখনোই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিশেষ করে মালয়েশিয়ায় সরকারের ক্রয়নীতি লঙ্ঘন করে ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। এ অভিযোগ থাকলেও তা নিষ্পত্তি করা হয়নি। বরং নানা সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটিকে অনৈতিক নানা সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তারাও বাংলাদেশকে জিম্মি করেছে বার বার। আবার এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেকে অন্যায় সুবিধা নিয়েছেন এমন কথাও শোনা যায়। তবে, এসব অভিযোগের কখনোই যথাযথ তদন্ত হয়নি।
পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, এমআরপি পাসপোর্ট করার জন্য সেই ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ আইসিএও চুক্তিতে সই করে। কিন্তু তারপরও যথাসময়ে এমআরপি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেসময় এই সংকটের জন্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালককে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু বার বার কী করে একই ভুল হয়?
এবারের যে সংকট, যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারার দায় কার? পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তো জানতেন তিন কোটি পাসপোর্ট শেষ হয়ে গেলে এই সংকট হবেই। তাহলে কেন আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হলো না?
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বললেন, তারা ভেবেছিলেন ২০২০ সালের মধ্যেই সব দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট যন্ত্র বসিয়ে ফেলবেন। কিন্তু করোনার কারণে পারেননি। কথা হলো, করোনা তো গতবছর শুরু হয়েছে। এই বছরের এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। তক্ষুনি তো বিকল্প ভাবা উচিত ছিল। আচ্ছা পাসপোর্টের মতো একটা বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বার বার দেরি হয় কেন?
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, যথাসময়ে পাসপোর্ট দিতে না পেরে এবার বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নোটিশে ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারের সমস্যার কথা জানিয়ে নোটিশ দিয়েছে। অথচ ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ পর্যন্ত কারণ ব্যাখা করে একটা নোটিশ বা ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি।
অথচ কেন এই সংকট, প্রবাসীদের করণীয় কী, সেসব বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করা যেত। কিন্তু এগুলোর কোনোটাই না করে পুরো বিষয়টা গোপন রাখা হয়েছে। পাসপোর্টের মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই লুকোচুরি ভীষণ হতাশার।
আরও দুঃখজনক বিষয় হলো, পাসপোর্ট সেবা নিয়ে প্রবাসীরা বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করে আসছেন। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপসহ সবখানেই একই অভিযোগ। বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকরা যেসব দেশে বেশি আছেন সেখানে সংকট বেশি। কিন্তু এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা কি কঠিন কাজ?
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই প্রশ্ন তো করাই যায়, কেন একজন প্রবাসীকে পাসপোর্ট পেতে দূতাবাসে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে? কেন নির্ধারিত তারিখে একজন পাসপোর্ট পাবেন না? কেন দেশে-বিদেশে পাসপোর্ট নিয়ে দালালচক্র গড়ে উঠবে? কেন বছরের পর বছর ধরে একই অভিযোগ করবেন প্রবাসীরা?
নীতি নির্ধারকদের কাছে অনুরোধ, নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে বহু প্রবাসী সংকটে আছেন। কাজেই যতো দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হোক। পাসপোর্ট না পেয়ে কোনো প্রবাসী ভিসা নবায়ন বা যেকোনো ধরনের সংকটে পড়লে দূতাবাসগুলো তাদের পাশে থাকুক।
আর এবারের সংকটটাই যেন শেষ সংকট হয়। পাসপোর্ট সেবা নিয়ে গত ৫০ বছর ধরে দেশে-প্রবাসে যে হয়রানি ও অভিযোগ চলছে, তার একটা স্থায়ী সমাধান হোক। স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাষ্ট্রীয় সেবার মানগুলো একটু ভালো হবে সেটা চাওয়া নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু নয়?
শরিফুল হাসান: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments