বুড়িমারী কাস্টমসে রেকর্ড ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়

করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তবে এই সংকটকালেও লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ে ৯৫.৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তবে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বেড়ে হয়েছে ১১১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
বুড়িমারী স্থলবন্দর। ছবি: এস দিলীপ রায়

করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তবে এই সংকটকালেও লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ে ৯৫.৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তবে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বেড়ে হয়েছে ১১১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস সহকারী কমিশনার কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বুড়িমারী কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি ৯৫.৮৯ শতাংশ। যা বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। করোনা মহামারিতে এটি একটি বড় অর্জন। আমরা রাজস্ব বৃদ্ধিতে যেসব জায়গায় জোর দিয়েছি তা হলো- এইচএস কোড, পণ্যের মূল্য, মিথ্যা ঘোষণা বন্ধ ও পিসিএ (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিড)। রাজস্ব আদায়, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন, রাজস্ব ফাঁকি রোধ, চোরাচালান বন্ধ, দ্রুত পণ্য শুল্কায়ন এবং কাস্টমসের কাজে স্বচ্ছতা। এছাড়া, আমার শৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে সচেষ্ট ছিলাম। কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এর সুফল হিসেবে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।’

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ ২০১৭ অর্থবছরে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫২ কোটি টাকা, সেবার আদায় হয়েছিল ৪০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা, যেখানে আয় হয়েছিল ৬৮ কোটি ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং আদায় হয় ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে ১০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, কিন্তু আদায় হয় ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৩ কোটি ৮০ লাখ এবং আদায় হয়েছে রেকর্ড ১১১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

বুড়িমারী কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ সূত্র জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরে বর্তমানে অতিরিক্ত শুল্কের কোনো পণ্য আসছে না। যেসব পণ্য আসছে তার অধিকাংশ কম শুল্কের। এসব পণ্যের বেশিরভাগ ভুটানের। অতিরিক্ত শুল্কের মধ্যে প্লাইউড, রেজিন, আগর বাতিসহ কিছু পণ্য এলেও বেশিরভাগ বোল্ডার পাথর এবং লাইম স্টোন ডোলোমাইট পাউডার আসছে। তবে ভুট্টা, চাল, আদা, খৈলসহ অন্যান্য পণ্যও আসছে।

Comments