১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল চায় বিসিক

বরিশালে বিসিকের একটি আঞ্চলিক কার্যালয়। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সিএসএমই খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের কাছে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল বরাদ্দ চেয়েছে।

এই এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বিসিক সিএসএমই ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচশ কোটি টাকা আর নতুন করে যারা ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্য পাঁচশ কোটি চেয়েছে।

গত ২৩ আগস্ট এই অর্থ বরাদ্দ চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিসিক) মোস্তাক আহমেদ বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল বরাদ্দ করা হলে বিসিক তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঋণ প্রদান এবং চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করবে।

এ ছাড়া, নতুন প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে দেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করতে পারবে, বলা হয়েছে চিঠিতে।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নিয়োজিত সরকারি খাতের মুখ্য প্রতিষ্ঠান বিসিক চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছে, উক্ত তহবিল বরাদ্দ করা হলে বিসিক চুক্তিনামা সম্পাদন ও যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল ফেরত প্রদানে প্রয়োজন হলে করপোরেট গ্যারান্টি প্রদান করবে।

এ বিষয়ে বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা ৬৪ জেলায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান করি। আমাদের পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের সক্ষমতা আছে। কিন্তু আমরা আপাতত এক হাজার কোটি টাকা বিসিকের অনুকূলে বরাদ্দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা গত অর্থবছরে প্রণোদনার ৫০ কোটি টাকা যেসব উদ্যোক্তাদের মধ্যে বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তাদের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস পর থেকে কিস্তি দিয়ে টাকা শোধ শুরু করার কথা। কিন্তু প্রণোদনা পাওয়ার প্রথম মাস থেকেই উদ্যোক্তারা কিস্তি দিয়ে প্রণোদনার অর্থ ফেরত দেওয়া শুরু করেছেন।'

করোনা মহামারিতে অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার স্বার্থে ২০২০-২১ অর্থবছরে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়।

এরমধ্যে বিসিকের অধীনে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থবছরে বরাদ্দের ৫০ কোটি টাকায় ছাড় পেয়েছে। আর ছাড়কৃত অর্থের পুরো টাকাই বিতরণ করেছে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের চার শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে সরকার। তবে, এ ঋণের সুদ হার ছিল নয় শতাংশ। বাকি সুদের টাকা জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দেয় সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Fuel to Air India jet engines cut off moments before crash: probe

The Dreamliner was headed from Ahmedabad to London when it crashed, killing all but one of the 242 people on board as well as 19 people on the ground

2h ago