উৎসব সাজ

ঈদে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় শিশুরা। নতুন জামা-জুতো পাওয়ার আনন্দ, সবার কাছ থেকে সালামি নেয়ার আনন্দÑ এমন অনেক কিছুই ঈদের আনন্দের সঙ্গে মিলে দ্বিগুণ হয়ে যায়। আবার বড়দের আনন্দটাও আলাদা। ছোটদের আনন্দতেই নিজেদের আনন্দ বলে মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার ছোট শিশুদের মতোই আনন্দে মেতে ওঠেন ঈদকে ঘিরে। টিন ট্রেন্ড ব্যাপারটা তাই একটু বিহান্ড দ্য সিনই থেমে যায়। অন্তত আমাদের দেশে। মাঝামাঝি এই সময়টা ১০-১৯। নানারকম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া টিনদের ফ্যাশন ট্রেন্ড ব্যাপারটাও তাই সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সেই ফ্যাশন সেন্স অন্যরকমের মাত্রা পায়, যোগ হয় নিজের চিন্তাধারার সঙ্গে মিল রেখে পোশাক পরা।

ঈদে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় শিশুরা। নতুন জামা-জুতো পাওয়ার আনন্দ, সবার কাছ থেকে সালামি নেয়ার আনন্দÑ এমন অনেক কিছুই ঈদের আনন্দের সঙ্গে মিলে দ্বিগুণ হয়ে যায়। আবার বড়দের আনন্দটাও আলাদা। ছোটদের আনন্দতেই নিজেদের আনন্দ বলে মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার ছোট শিশুদের মতোই আনন্দে মেতে ওঠেন ঈদকে ঘিরে। টিন ট্রেন্ড ব্যাপারটা তাই একটু বিহান্ড দ্য সিনই থেমে যায়। অন্তত আমাদের দেশে। মাঝামাঝি এই সময়টা ১০-১৯। নানারকম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া টিনদের ফ্যাশন ট্রেন্ড ব্যাপারটাও তাই সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সেই ফ্যাশন সেন্স অন্যরকমের মাত্রা পায়, যোগ হয় নিজের চিন্তাধারার সঙ্গে মিল রেখে পোশাক পরা।


ঈদের টিন ট্রেন্ড-এর কথা বললে সবার আগে বলতে হয়, ফিমেল ফ্যাশনের কথা। টিন ট্রেন্ডেই নানা নামের, নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্টের পোশাক পরতে দেখা যায়। ঈদ ফ্যাশনে এবার গাউন স্টাইলের লম্বা কুর্তি ইন বেশ ভালোভাবে। গাউন ধাঁচের পোশাকগুলোর দিকেই কিশোরীরা ঝুঁকছে বেশি। এছাড়াও ফ্যাশন করতে পছন্দ করে, এমন টিনএজাররা টপস, কাফতান, স্টাইলিশ কুর্তা বেছে নিতে পারে অনায়াসেই। দেখতেও ভালো লাগবে, পরেও আরাম পাবে। এছাড়া যারা পাশ্চাত্য সাজে নিজেকে সাজাতে চায়, তাদের জন্য রয়েছে একরঙা শার্ট, জ্যামিতিক কিংবা ফ্লোরাম প্রিন্টেড
পালাজ্জো কিংবা জ্যাকেট কাট পোশাক ইন ফ্যাশনে রয়েছে এখন। প্রিন্টের ক্ষেত্রে ফ্লোরাল ও জ্যামিতিক প্রিন্টের ব্যবহার লক্ষণীয়। কামিজের ক্ষেত্রে প্যাটার্ন হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে লং, এ লাইন, মেক্সি স্টাইলকে। ঈদের সকালে অনেকে একটু হালকা ধরনের পোশাক পরতে চায়। তাদের জন্য হালকা রঙের সুতির পোশাকই বেশি উপযোগী। নীল, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনি, আকাশি, শ্যাওলা, হালকা লাল, সবুজ, কমলা, হলুদ ও লেবু রঙের পোশাকের বেশি চাহিদা এখন।
ছেলেদের ডিজাইনে খুব বেশি ভিন্নতা নেই টিন ট্রেন্ডের ক্ষেত্রে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষার মিশেল সময়ে ঈদ হচ্ছে বলে হালকা কিন্তু ঈদ উৎসবের সঙ্গে মানানসই এই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। কটিসহ পাঞ্জাবিগুলোর চাহিদা এবার বেশ লক্ষণীয় টিনদের ক্ষেত্রে। পাঞ্জাবির ডিজাইনে গলার দিকে হালকা কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে তারা। পাঞ্জাবির রঙের সঙ্গে খাপ খায় এমন কটি বেছে নিচ্ছে ঈদের পোশাক হিসেবে। এছাড়াও গরম আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই এবার পোলো টি-শার্টগুলোকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে অনেকে। তবে আরামদায়ক ব্যাপারটিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই ক্ষেত্রে।
জুতার ক্ষেত্রে টিনরা বরাবরই বেশ সংবেদনশীল। ছেলেরা যেমন স্টাইলিংয়ের জন্য বেছে নিচ্ছে সু, স্নিকারস ধরনের জুতা, সেখানে মেয়েরাও সেমি হিল, ফ্ল্যাট হিল কিন্তু আকর্ষণীয় এবং পোশাকের রঙের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে কিনতে পছন্দ করে অনেকেই। এবার আসা যাক বিভিন্ন এক্সেসরিজের কথায়। মেয়েদের ঈদ এক্সেসরিজের মধ্যে রয়েছে গয়না, হাতঘড়ি, স্কার্ফ, পারফিউম এবং হেয়ার স্টাইলিং কিট। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেই মানানসই গয়না পরা উচিত কিশোরীদের। যেহেতু বয়স অনেক বড় একটি বিষয়, তাই হুট করেই অস্বাভাবিক কিংবা মানানসই নয় এমন কিছু করা যাবে না। হালকা কিন্তু মানানসই গয়না আর হেয়ার স্টাইলিং টিন ফ্যাশনকে করে তুলবে আরো প্রাণবন্ত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কিশোরদের ক্ষেত্রে টিন ফ্যাশনে নানা রকমের ব্রেসলেট এখন বেশ জনপ্রিয়। সবাই চায় নিজের পছন্দের ফুটবল টিম, কিংবা কোন সিরিজের লোগো কিংবা পছন্দমতো কিছু দিয়ে ব্রেসলেট বানিয়ে নিতে। তবে পাঞ্জাবি কিংবা এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে বিষয়টি মানানসই নয়, সেটি বুঝেই ব্রেসলেট বাছাই করা উচিত। এছাড়াও পারফিউম, বেল্ট, ঘড়ি এই বিষয়গুলো টিন ফ্যাশনে প্রভাব ফেলতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ঈদে ফ্যাশন যা-ই হোক, আবহাওয়া কেমন থাকবে সেটিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই টিনদের ফ্যাশন যাচাইয়ে বয়স, পছন্দের পাশাপাশি আবহাওয়ার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেয়া উচিত। এতেই ঈদ হয়ে উঠবে সর্বাঙ্গীণ ও সুন্দর।
 জান্নাতুল ইসলাম শিখা
পোশাক : স্বপ্ন লাইফস্টাইল, ইয়োডো
মডেল : লিন্ডা, রিসিলা, জলি ও দোয়েল; ইন্দ্রাণী

 

Comments

The Daily Star  | English

Production fully suspended at Barapukuria power plant due to technical glitch

The shutdown has led to further power outages as the plant has the capacity to produce 275-megawatt of electricity.

37m ago