আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স

পুরো আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলা জস বাটলার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাকে ফেরালেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। অসাধারণ বোলিংয়ে রাজস্থানের ব্যাটিং লাইন আপ দিলেন গুঁড়িয়ে। এরপর ব্যাট হাতেও রাখলেন কার্যকরী ভূমিকা। তাতে প্রথম আসরেই আইপিএলের শিরোপা জিতে নিল গুজরাট টাইটান্স।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৫তম আসরের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রান করে রাজস্থান। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় গুজরাট।
এদিন জস বাটলারের ব্যাটে আরও একটি সেঞ্চুরি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। চারটি সেঞ্চুরি করে বিরাট কোহলিকে ছুঁয়েছেন। টপকে যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তার। তবে আইপিএলের প্লে-অফে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুইশ গণ্ডি পেরিয়েছেন।
পুরো আসরে ৮৬৩ রান করেছেন বাটলার। আইপিএলের এক মৌসুমে বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নার ২০১৬ সালে করেছিলেন ৮৪৮ রান। তবে সে বছর ৯৭৩ রান করে সবার উপরে আছেন কোহলি।
লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো গুজরাট। ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। কিন্তু ক্যাচ ফেলে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। গিল তখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। অষ্টম ওভারেও দুরূহ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। তবে দৌড়ে অল্পের জন্য নাগাল পাননি হেটমায়ার। সেই গিল শেষ পর্যন্ত করলেন হার না মানা ৪৫ রান।
তবে দলীয় ২৩ রানেই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে শুরুতে চাপ সৃষ্টি করেছিল রাজস্থান। সে চাপ অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি দলটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক হার্দিককে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন গিল। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর বাকি কাজ ডেভিড মিলারকে নিয়ে শেষ করেন এ ওপেনার। মিলার করেন ৩২ রান।
এর আগে এদিন টস জিতে নেয় রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনই। কিন্তু বেছে নেন ব্যাটিং। অন্যদিকে টস জিতলে আগে বলই করতেন বলে জানান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আসর জুড়ে দারুণ পারফর্ম করা দলটির অধিনায়কই যে সঠিক তা রাজস্থানের ইনিংস শেষেই স্পষ্ট।
যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি আইপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়নদের। পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান করে দলটি। প্রথম ১০ ওভারে রান আসে ৭১। দুই উইকেট হারালেও তখনও ক্রিজে ছিলেন আসর জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ ব্যাটার জস বাটলার। কিন্তু রশিদ খান ও হার্দিক বোলিংয়ে আসতেই কমে আসে তাদের রান তোলার গতি।
পরের চার ওভারে মাত্র ১৩ রান তুলতে পারে রাজস্থান। হয়নি কোনো বাউন্ডারিও। দেবদূত পাড়িক্কাল ১০ বল খেলে করেন মাত্র ২ রান। এরমধ্যেই আবার হারিয়ে ফেলে বাটলারের উইকেটও। ফলে চাপে পরে যায় দলটি। এরপর শিমরান হেটমায়ারও টিকতে পারেননি। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটা করেন সেই বাটলারই। ৩৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। এছাড়া জসওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। গুজরাটের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে পান ৩টি উইকেট। ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করেন রশিদ। এছাড়া সাই কিশোর নেন ২টি উইকেট।
Comments