আত্মতুষ্টিতে ভোগেনি বাংলাদেশ, ব্যাটিং অ্যাপ্রোচেও হতাশ নন মাহমুদউল্লাহ

Mahmudullah

১৬৭ রানের লক্ষ্য। ওভারপ্রতি গড়ে দরকার ৮.৩৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে আহামরি কঠিন কোনো সমীকরণ নয়। তারপরও ব্যাটিং সহায়ক পিচে তাড়াহুড়ো করে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এই অ্যাপ্রোচে হতাশ নন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ে সফরে আগের সবগুলো ম্যাচে জেতায় আত্মতুষ্টি ভর করেছিল, এমনটা মানতেও নারাজ তিনি।

শুক্রবার হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে অনায়াসে হারিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ২৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকরা ফিরেছে ১-১ ব্যবধানের সমতায়।

নাজুক ফিল্ডিংয়ের পর দলীয় ১৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া সফরকারীরা সেটা আর সরাতে পারেনি। জুটি গড়ার প্রবণতার বদলে উল্টো বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফেরায় ধকল আরও বাড়ে। সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেন ও অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারীর ২৩ বলে ৪১ রানের জুটিতে কিছুটা চিন্তায় ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এর আগে-পরে কখনোই তাদেরকে প্রত্যাশিত জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশ।

হারের পর অবশ্য অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে শোনা গেছে জুটি গড়ে না ওঠার আক্ষেপ। তবে ঝুঁকি নেওয়ার বিকল্প ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি, 'ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। ১৬০ রান তাড়া করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। দ্রুত ২-৩ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপে ছিলাম। এরপরও উইকেট হারাচ্ছিলাম। একটা ৩০ আর একটা ৫০ রানের জুটি হলে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যেত।'

প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সফরের একমাত্র টেস্টে জেতার পাশাপাশি ওয়ানডে সিরিজেও স্বাগতিকদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, জয়ের রথে থাকলেও মাঠে নির্ভার ছিলেন না তারা, 'আত্মতুষ্টিতে ভুগছি এমন কোনো মনোভাব মাঠে আমাদের ছিল বলে মনে হয় না। এই ম্যাচের জন্যও আমাদের পূর্ণ মনোযোগ ছিল এবং ভালো করতে প্রত্যয়ী ছিলাম। হয়তোবা পরিকল্পনা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি। এ কারণে ম্যাচটা হেরেছি।'

দুই দলের সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। একই ভেন্যুতে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটায়।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

2h ago