উদ্বিগ্ন নন মুমিনুল, কীভাবে রান করতে হয় জানেন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চরম হতাশ করেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। অধিনায়ক মুমিনুল হকের অবস্থাও ভীষণ করুণ। দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হওয়া তো দূরে থাক, ন্যূনতম প্রতিরোধও দেখা যায়নি তার ব্যাটে। তবে নিজের বাজে ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন নন এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি ক্রিকেটার। তার মতে, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সেটা তিনি জানেন।
বাংলাদেশের টেস্ট দলনেতা মুমিনুলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর কাটল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের মতো। দুই টেস্টের চার ইনিংসের সবকটিতে দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। তার স্কোর যথাক্রমে ০, ২, ৬ ও ৫।
গত নভেম্বর থেকে খেলা ছয় টেস্টের ১২ ইনিংসের নয়টিতেই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মুমিনুল। ১৫ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ১৬৫ রান। মাত্র একবার হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৮৮ ও অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংস। পরের টেস্টে করেন ০ ও ৩৭ রান। এর আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার স্কোর ছিল যথাক্রমে ৬, ০, ১ ও ৭।
সোমবার পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের বিশাল হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, তিনি আছেন ভালো জায়গাতেই, 'দু-একটি ম্যাচ খারাপ গেছে। তার মানে এই নয় যে আমি আমার জায়গায় নেই। আমি সব সময় আমার জায়গায় আছি। দু-একটা ইনিংসে রান হয়নি, আবারও বলব, ওটা নিয়ে আমি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নই। আমি জানি, কীভাবে রান করতে হয়। আমি আগেও এরকম (অবস্থানে) ছিলাম, আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি।'
এদিনও লড়াইয়ের মানসিকতা দেখাতে থেকে ব্যর্থ হন মুমিনুল। বাজে এক শটে ছুঁড়ে দেন উইকেট। কেশব মহারাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সুইপ করার চেষ্টায় সফল হননি তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় উপরে। স্কয়ার লেগ থেকে পিছিয়ে গিয়ে ক্যাচ নেন রায়ান রিকেলটন। ২৫ বলে মুমিনুল করেন ৫ রান।
৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস টেকে মাত্র এক ঘণ্টা। মুমিনুলের মতো মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজও বিলিয়ে দেন উইকেট। মহারাজ ও সাইমন হার্মারের স্পিনে কেবল ৮০ রানে গুটিয়ে ৩৩২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় সফরকারী টাইগাররা।
Comments