একাদশে ফিরেই সাকিবের ঝলক

প্রথম ধাপে তিন ম্যাচ খেলে কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে আর জায়গাই হচ্ছিল না তার। টানা পাঁচ ম্যাচ উপেক্ষিত থাকার পর একাদশে ফিরেই ঝলক দেখালেন বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডার। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে জিতেছে তার দলও।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তলানির দল সানরাইজার্স হায়দরবাদকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্সের ১১৫ রান পেরুতে অবশ্য শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে কলকাতাকে। ২ বল আগে ওই রান পেরিয়ে দলকে জেতান দীনেশ কার্তিক।
দলের জয়ে বল হাতে অবদান রেখে ৪ ওভার বল করে মাত্র ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব, কেইন উইলিয়ামসকে রান আউটও করেন তিনি।
মন্থর উইকেটে সাকিবের ঝলকের দিনে অন্য দুই স্পিনার সুনিল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তীও ছিলেন দারুণ। ৪ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট নেন বরুণ। ৪ ওভারে উইকেট না পেলেও মাত্র ১২ রান দেন নারাইন। স্পিনত্রয়ীর জ্বলে উঠার দিনে সানরাইজার্স হায়দরবাদ ২০ ওভার ব্যাট করে করতে পারে মাত্র ১১৫ রান।
এদিন সপ্তম ওভারে সাকিবের হাতে বল দেন ওয়েন মরগ্যান। প্রথম ৪ বল থেকে আসে কেবল ৩ রান। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে গিয়ে সাকিবের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন উইলিয়ামস। শেষ বলে আরও এক রান আসে।
নবম ওভারে এসে মাত্র ৪ রান দিয়েছিলেন, পেতে পারতেন প্রিয়ম গার্গের উইকেট। নিজের বলে সহজ ক্যাচ রাখতে পারেননি তিনি।
একাদশ ওভারে নিজের তিন নম্বর ওভার করতে এসেই উইকেট পান সাকিব। তাকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন অভিষেক শর্মা। ওই ওভারে মাত্র ২ রান দেন তিনি।
১৩তম ওভারে বোলিং কোটা পূরণ করতে এসে মার খেয়েছেন সাকিব। তাকে ছক্কা বাইরে ফেলেন জীবন পাওয়া প্রিয়ম। ওই ওভার থেকে আসে ১০ রান। তবু স্পেল শেষে সাকিবের ফিগার থাকে বেশ ঝলমলে।
অল্প পুঁজি তাড়া করতে গিয়ে ভেঙ্কেটেশ আইয়ার মাত্র ৮ রান করে ফিরে গেলেও শুভমান গিল ছিলেন টিকে। মন্থর উইকেটের বিচারে দারুণ এক ফিফটি করেন তিনি। দলকে জেতার পথে রাখেন এই তরুণ। ৫১ বলে ৫৭ করে তার বিদায়ের পর বদলে যেতে থাকে প্রেক্ষাপট। ম্যাচে ফিরে এসেছিল সানরাজার্সও। তবে নিতিশ রানার ৩৩ বলে ২৫ রানের পর মাত্র ১২ বলে ১৮ করে শেষের কাজটা করেন কার্তিক।
Comments