এজাজের 'বিশেষ প্রচেষ্টায়' মুগ্ধ কুম্বলে
ঐতিহাসিক এক কীর্তি গড়ে ফেললেন এজাজ প্যাটেল। জিম লেকার, অনিল কুম্বলের পর ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে পেলেন ১০ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই এজাজের এমন কীর্তিতে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। মুগ্ধ কুম্বলেও। এজাজকে অভিনন্দন জানাতে বিলম্ব করেননি এ কিংবদন্তি। রীতিমতো এজাজের বিশেষ প্রচেষ্টায় মুগ্ধ এ স্পিনার।
বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই এজাজকে অভিনন্দন জানাতেন লেকারও। পারফেক্টের টেনের প্রতিষ্ঠাতা খুব ভালো করেই জানতেন এর মর্ম। ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নেওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। তার উপর এজাজ কাজটা করেছেন প্রতিপক্ষের মাঠে। তাও আবার প্রথম ইনিংসেই।
তাই লেকার-কুম্বলের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে এজাজের কীর্তি। যেখানে আগের দুই জনই করেছিলেন নিজ মাঠে। লেকার অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅনে ফেলে গড়েছিলেন তৃতীয় ইনিংসে। আর কুম্বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে পান ১০ উইকেট। সেখানে ভারতের মাটিতে খেলতে এসে টেস্টের প্রথম দুই দিনেই গড়েন এ কীর্তি।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এমন অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়া মাত্রই এজাজকে '১০ উইকেট' ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছেন কুম্বলে। সামাজিক মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'পারফেক্ট টেন ক্লাবে তোমাকে স্বাগত এজাজ প্যাটেল। দারুণ বল করেছ। কোনও টেস্ট ম্যাচের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে এমন কৃতিত্ব অর্জনের জন্য বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়।'
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার হলেও এজাজের জন্ম ভারতেই। এমনকি এই মুম্বাইয়েই। পরে পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। একদিন থেকে কিছুটা 'স্বাগতিক' বলা যেতেই পারে তাকে। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। ভারতের সমর্থকরা এদিন তার বিপক্ষেই গলা ফাটিয়েছেন।
নজিরটা বড় হলেও সেরা বোলিং ফিগারে লেকার-কুম্বলেকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি এজাজ। এদিন তার ১০ উইকেট নিতে খরচ করতে হয়েছে ১১৯ রান। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে অজিদের ১০ উইকেট তুলে নিতে লেকার খরচ করেছিলেন ৫৩ রান। ৪৩ বছর পর ১৯৯৯ সালে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানে ১০ উইকেট নেন কুম্বলে।
Comments