ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহর ‘দুইশো’
বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুইশোতম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
১৪ বছর আগে ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। প্রায় ১৪ বছরের মাথায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবার হারারেতে দুইশোর ঘরে গেলেন তিনি।
দীর্ঘ পথচলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। দেশকে পাইয়ে দিয়েছেন বড় বড় সাফল্য। তার হাত ধরেই বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথে যা ছিল বড় ধাপ।
আগের ১৯৯ ওয়ানডেতে দেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪৬৯ রান মাহমুদউল্লাহর। বল হাতেও আছে ৭৬ উইকেট। ফিল্ডিংয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ ক্যাচ ধরেছেন। তার খেলা ১৯৯ ম্যাচের মধ্যে ৯২টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ তার ক্যারিয়ারে নিজেকে সংকটের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বারবার। দলের বিপদে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য তাকে ডাকা হয় ‘ক্রাইসিস ম্যান’। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেও সীমিত সংস্করণের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে তার সামনে।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২২৭ ওয়ানডে খেলেছেন মুশফিক। মাশরাফি ও তামিম দুজনেই খেলেছেন ২১৮ ম্যাচ। সাকিবের ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ২১৪টি।
বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একশোর বেশি ওয়ানডে খেলেছেন, এমন আছেন আরও দুজন। ১৭৫ ওয়ানডেতে থমকে যাওয়া মোহাম্মদ আশরাফুলের আবার জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আর ১০৪ ম্যাচ খেলা রুবেল হোসেনের বয়সও ৩১ পেরিয়ে গেছে। একজন পেসারের পক্ষে দেশের বাস্তবতায় দুইশ পর্যন্ত যাওয়া খুবই কঠিন।
Comments