কলপ্যাক বাতিলে দ. আফ্রিকায় ফেরার আশায় রুশো

২০১৭ সালের কথা। বাংলাদেশ দলের বর্তমান প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তখন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রধান কোচ। সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাইলি রুশোকে রীতিমতো এক হাত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এ কোচ। কারণ এই কোচই তার প্রথম আন্তর্জাতিক ছয় ম্যাচে চারটি ডাক পাওয়ার পরও তাকে দলে আগলে রেখেছিলেন। রুশো এসব নিয়ে ভেবেও দেখেননি। কলপ্যাক চুক্তিতে হ্যাম্পশায়ারে খেলতে চলে যান এ ব্যাটার। সেই গল্প এখন অতীত। সেই রুশো ফের খেলতে চান দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে।
মূলত ব্রেক্সিটের প্রভাবেই এমন সিদ্ধান্ত রুশোর। যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করায় কলপ্যাক রুলিং অকার্যকর হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া সিস্টেমে ফিরেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য। তবে, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এবং টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের মতো লাভজনক টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার ইচ্ছা থাকাটাই তার বিপক্ষে যেতে পারে।
তবে প্রোটিয়া দলে ফিরতে চান এ ক্রিকেটার। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম রিপোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশো বলেন, 'আমি আবার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে চাই। আমরা যদি শুধু একমত হতে পারি যে বিদেশী অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও কোনো পার্থক্য নেই। রাগবিতে, একজন খেলোয়াড়কে দক্ষিণ আফ্রিকার দলের জন্য নির্বাচিত করা হয় যদিও সে শুধুমাত্র বিদেশেই খেলে (কিন্তু ক্রিকেটে নয়)। আমি একমত নই (বিদেশে খেলা একজন খেলোয়াড়কে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে বাধা দেওয়া উচিত)।'
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শেষবার ২০১৬ সালে খেলেছেন রুশো। পরের বছর হ্যাম্পশায়ারের সঙ্গে তিন বছরের কলপ্যাক চুক্তিতে যোগ দেন তিনি। যে কারণে জাতীয় দল ছাড়তে হয় তাকে। অথচ ডমিঙ্গো সেদিন সহায়তা না করলে হয়তো ক্যারিয়ারটা শুরুতেই থমকে যেতে পারতো রুশোর। পরে জাতীয় দলের হয়ে ৩৬ ম্যাচে ৩৮.৭১ গড়ে ১২৩৯ রান করেন তিনি। যেখানে তিনটি সেঞ্চুরি ও সাতটি ফিফটিও ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সিরিজে ৭৭.৭৫ গড়ে করেছিলেন ৩১১ রান। যার মধ্যে একটি ছিল ১২২ রানের ইনিংস। টেস্ট দলে কখনো বিবেচিত না হলেও খেলেছেন ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন রুশো। গত বছর সিএসএ টি-টোয়েন্টি নকআউট ৯৮.৩৩ গড়ে করেছেন ২৯৫ রান। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৭৫।
আর এ কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এখন আরও বেশি কিছু দিতে পারবেন বলে আশা করছেন রুশো, 'আমি এখন ২১৬ সালের তুলনায় খেলোয়াড় হিসেবে আরও বেশি ভালো, শতভাগ পরিণত। আমি সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছি।'
Comments