টি-টোয়েন্টিতে অনন্য ডাবলে নাম লেখালেন সাকিব

Shakib Al Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজ শুরুর আগেই এই রেকর্ড স্পর্শ করার খুব কাছে ছিলেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান পেরিয়েছেন বহু আগে। অনন্য ডাবলে নাম লেখাতে দরকার ছিল কেবল ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে ভালো বল করে নেন একটি করে উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে ছিলেন মলিন। ৫০ রান বিলিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য। শেষ ম্যাচে সাকিব ফের জ্বলে উঠলেন।  দুই উইকেটের চাহিদা পূরণ করলেন অনায়াসে। বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডারের নাম উঠে গেল রেকর্ডের পাতায়।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অ্যাস্টন টার্নারকে আউট করার মধ্যে দিয়ে  টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজারের বেশি রান ও ১০০ উইকেট হয়ে যায় সাকিবের। নারীদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নজির আছে অস্ট্রেলিয়ার এলিসা প্যারির।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে সাকিবের বলে শর্ট মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন টার্নার। এর আগে তিনি বোল্ড করে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে। রেকর্ড গড়ার পরও আরও দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব। অজিদের লেজ মুড়ে দিতে নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। 

রেকর্ড গড়ার দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে উইকেট সংখ্যা তিন অঙ্কে নিয়ে গেলেন সাকিব। এর আগে শ্রীলঙ্কার লাথিস মালিঙ্গা প্রথম বোলার হিসেবে বসেন চূড়ায়।

১০৭ উইকেট নেওয়া মালিঙ্গার ক্যারিয়ার থেমে গেছে বেশ আগে। তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে সাকিবের সামনে।

উইকেট নেওয়ায় সাকিবের ঠিক পেছনেই আছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। ডানহাতি এই পেসার ৮৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৯৯ উইকেট। ৯৮ উইকেট পাওয়া পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির ক্যারিয়ার থেমে গেছে আগেই। সাকিব, সাউদির চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলে দৌড়ে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। ৫১ ম্যাচ খেলেই তার উইকেট সংখ্যা ৯৫। সামনে পড়ে থাকা লম্বা ক্যারিয়ারে এই লেগ স্পিনারেরই সবার চূড়ায় উঠার সম্ভাবনা জোরালো।

তবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট আর ১ হাজার রানে সাকিব একা অনেকদিন থেকে যাবেন। রশিদ আর সাউদি ১০০ উইকেটের কাছে থাকলেও ১ হাজার রান করতে এখনো অনেক  পেছনে আছেন তারা। ৫১ টি-টোয়েন্টিতে রশিদের রান ১৭৯ আর টেল এন্ডার সাউদি ৮৩ ম্যাচে করেছেন ২৪৯ রান।

এই ডাবলসের সবার আগেই নাম লেখানোর সুযোগ ছিল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের রান ১ হাজার ৪১৬। কিন্তু ৯৮ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার থেমে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪তম ম্যাচের নামার আগে সাকিবের রান ছিল ১৭০৭। গড় ২৩.৭০ আর স্ট্রাইকরেট ১২৩.৫১ ।

সাকিবের ১০২ উইকেটের মধ্যে প্রথম সারির দলগুলোর বিপক্ষে উইকেট সংখ্যা ৩৫ ম্যাচে ৪৯টি। আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড , জিম্বাবুয়ে ও সহযোগি সদস্যদের বিপক্ষে তিনি নিয়েছেন ৪৮ ম্যাচে ৫৩ উইকেট।

Comments