ডোপ পাপে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের পেসার শহিদুল

Mashrafe Mortaza & Shahidul Islam
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় বাংলাদেশি পেসার শহিদুল ইসলামকে কড়া শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ১০ মাসের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি। আইসিসির অ্যান্টি-ডোপিং আইনের ২.১ ধারা লঙ্ঘন করায় শহিদুলকে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। তার শরীরে ক্লোমিফিন নামক নিষিদ্ধ পদার্থের উপস্থিতির কারণে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।

শহিদুলের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে চলতি বছরের ১৮ মে থেকে। যা বহাল থাকবে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত।

ক্লোমিফিনকে নিষিদ্ধ তালিকায় শ্রেণীবদ্ধ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ডাব্লিউএডিএ)। নিয়ম অনুযায়ী, এই নিষিদ্ধ পদার্থ কারো শরীরে পাওয়া গেলে তাকে সব ধরণের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। গত ৪ মার্চ ঢাকায় প্রস্রাবের নমুনা প্রদান করেছিলেন শহিদুল।

তবে এ নিষিদ্ধ পদার্থ ইচ্ছাকৃত নেননি শহিদুল। আইসিসি জানিয়েছে, অসাবধানতাবশত নিষিদ্ধ পদার্থটি গ্রহণ করেছিলেন তিনি। মূলত থেরাপিউটিক কারণে বৈধভাবে নির্ধারিত ওষুধে এ পদার্থ উপস্থিত ছিল। আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছিলেন যে নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে তার খেলাধুলার পারফরম্যান্স বাড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার।

আর এ কারণে কিছুটা কম শাস্তি পেয়েছেন শহিদুল। অন্যথায় ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে আরও বড় শাস্তি পেয়ে থাকেন খেলোয়াড়রা। আর আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন এ পেসার।

অনেক দিন থেকেই তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই বাংলাদেশ দলের সদস্য শহিদুল। চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলেও ছিলেন। যদিও তখন চোটের কথা বলে দলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি।

Comments