দলের কেউ একজন হয়ত আমাকে পছন্দ করে না: আবু জায়েদ

Abu Jayed Chowdhury
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টানা দুই সিরিজ দলের সঙ্গে থেকেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। তবে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে না খেলিয়েই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে ঘরের মাঠের কন্ডিশন ও গতির কথা বলেছেন নির্বাচকরা। তবে আবু জায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, বাদ পড়ার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার খবর আপনার কাছে কতটা হতাশার ছিল?

আবু জায়েদ: এতদিন আমি খেলে আসছি। এখন আমার স্যুয়িং,পেস নানা বিষয় উঠে আসছে। গত ম্যাচেও (পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আমি ফিফটি-ফিফটি বিবেচনায় ছিলাম। উইকেটে যদি ঘাস থাকত তাহলে আমি খেলতাম, ঘাস না থাকলে তাইজুল ভাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আবহাওয়া পারমিট না করায় তাইজুল ভাই খেলেছে। এরপরে বাংলাদেশে আসার পর...এখন যেহেতু তাসকিন খেলছে না...। আচ্ছা আপনি যদি গতি বৈচিত্র্যের  কথা বলেন শহিদুল কি আমার চেয়ে বেশি গতির বোলার? এই প্রশ্ন তো করা উচিত ছিল সবার।

তাহলে কোন কারণে আপনাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন?

জায়েদ:  আমার মনে হয় না কোচ, অধিনায়ক বা নির্বাচকদের কোন সমস্যা। আমার মনে হয় দলের কেউ একজনের আমি পছন্দের না, না হলে তো আর কিছু তো মনে হয় না। আমি যদি মনে করতাম শহিদুলকেও নেওয়া হয়নি, তাহলে বুঝতাম যে আসলে হয়ত এখানে পেস বোলারের দরকার নাই। যাই হোক বোর্ড এখন নেয়নি, কিছু তো করার নাই।

দেখেন আমি জাতীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছি, আমি ঘরোয়া চুক্তিতেও নাই। আমি বিপিএলেও চোটে ছিলাম, পুনর্বাসনের মাঝে ছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে গেলাম, সেখান থেকে এসে বাদ পড়ে গেলাম জাতীয় দল থেকে। আমার ক্যারিয়ার কোথায় যাবে? আমার আয়ের উৎস কই?'

প্রথম শ্রেনীর চুক্তিতেও নাই?

জায়েদ: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ১২০ জন বেতনে আছে একমাত্র আমি ছাড়া। এটা আমার জন্য খারাপ বিষয় না?  আমাকে কোন আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। 

আপনার নিজের কাছে কি মনে হয়, পারফরম্যান্সে কোন ঘাটতি ছিল?

জায়েদ: নিউজিল্যান্ড সিরিজে অনুশীলন ম্যাচে আমি ৩ উইকেট পেয়েছি। এরপরে যদি বোর্ডে আমার কোন ক্রিকেট না দেখে থাকে তাহলে বিচার করবে কীভাবে? যেমন ধরেন বিসিএল হয়েছে, বিসিএলের সময় নিউজিল্যান্ড ছিলাম ৩০ দিন। ওখান থেকে আসার পর রিহাভ্যে ছিলামে। এরপর সাউথ আফ্রিকায় গিয়েও খেলতে পারলাম না। এখন আমি খেলব কোথায়?

আপনার সঙ্গে কি কারো কথা হয়েছে? 

জায়েদ:  যদি আমাকে আগে থেকে ফোনে বলা হত যে তোকে এই সিরিজে রাখছি না, তাহলে একটা কথা। হুট করে বাদ দেওয়া হয়েছে, ফোনেও কোন যোগাযোগ নাই। এই জিনিসটার একটা সান্ত্বনা মিলে যে উইকেটের কারণে খেলতে পারছি না বা কিছু। আমার সঙ্গে যা হচ্ছে তা খারাপ হচ্ছে।

এখন পরিকল্পনা কি? অনুশীলন ম্যাচে তো রাখা হবে মনে হয়। 

জায়েদ: অনুশীলন করছি। সামনে দলের অনুশীলনে যোগ দেব। আমি আশা করছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে আমাকে বিবেচনা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago