দলের বিপর্যয়ে লিটনের নজরকাড়া সেঞ্চুরি
ধীর-স্থির শুরু করে ৭৮ বলে পৌঁছেছিলেন হাফসেঞ্চুরিতে। ততক্ষণে তার ব্যাটে চড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে নিয়েছিল দল। এরপর অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলেন লিটন দাস। দ্রুত গতিতে রান তুলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকালেন এই ওপেনার।
শুক্রবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেসেছে লিটনের ব্যাট। এক প্রান্ত আগলে স্বাগতিক বোলারদের মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সংস্করণে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।
ইনিংসের ৪০তম ওভারে অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরের ডেলিভারি স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান লিটন। তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছাতে তাকে খেলতে হয়েছে ১১০ বল। অর্থাৎ পরের ফিফটি তিনি এনেছেন মাত্র ৩২ বলে।
বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও লিটনের ইনিংসের চার মাত্র ৮টি। বাড়তি কোনো ঝুঁকি নেননি তিনি। সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে স্ট্রাইক বদলান, সচল রাখেন দলের রানের চাকা।
শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাটারা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নেন। বাকিদের মতো লিটনও তখন কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে দারুণভাবে উইকেটে মানিয়ে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের ৪২তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন। পেসার রিচার্ড এনগারাভার ডেলিভারি পুল করতে গেলে টপ-এজ হয়ে যায়। বদলি ফিল্ডার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ক্যাচ লুফে নিলে থামে তার ১১৪ বলে ১০২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২০৭ রান।
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটনের আগের দুইটি সেঞ্চুরিই গত বছর মার্চে ঘরের মাঠে। সিলেটে প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। পরে একই ভেন্যুতে তৃতীয় ওয়ানডেতে তিনি করেছিলেন চোখ ধাঁধানো ১৭৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
Comments