ক্রিকেট

পাকিস্তান সফর বাতিল করল ইংল্যান্ডও

নিউজিল্যান্ডের পথে হাঁটল ইংল্যান্ডও। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অক্টোবরে নির্ধারিত হয়ে থাকা পাকিস্তান সফর বাতিল করে দিয়েছে তারা।

প্রথম ওয়ানডেতে নামার কয়েকঘন্টা আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিল করে পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই শঙ্কাটা তৈরি হয়, সেটাই সত্যি হলো। নিউজিল্যান্ডের পথে হাঁটল ইংল্যান্ডও। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অক্টোবরে নির্ধারিত হয়ে থাকা পাকিস্তান সফর বাতিল করে দিয়েছে তারা।

সোমবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে। ইংল্যান্ডের ছেলে ও মেয়েদের দুই দলেরই সূচি ছিল পাকিস্তান সফরের। ছেলেদের দলের ছিল দুটি টি-টোয়েন্টি। মেয়েদের দল দুই টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি তিন ওয়ানডেও খেলার কথা ছিল।

বিবৃতিতে ইসিবি ব্যাখ্যা করে কেন সফরটি করা সম্ভব হচ্ছে না, 'বছরের শুরুতে অক্টোবরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা। একই সময়ে মেয়েদের দলেরও সফরের কথা ছিল।'

'কিন্তু এই সপ্তাহে বোর্ড সভায় আলোচনার পর ইংল্যান্ডের পুরুষ ও নারী দলের পাকিস্তান সফর প্রত্যাহার করা হয়েছে।'

'খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের মানসিক স্বাস্থ্য এই মুহূর্তে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে এই অঞ্চলে ভ্রমণের বিষয়ে তৈরি হওয়া সতর্কতা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।'

এই সফর দিয়ে ১৬ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। ২০০৫ সালে দেশটিতে সর্বশেষ সফরের পর নিরাপত্তার কারণেই বিরত ছিল ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলার পর পাকিস্তানে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। লম্বা সময় পর আবার পাকিস্তানে ফিরতে শুরু করেছিল ক্রিকেট। গত ৪ বছরে কয়েকটি দল পাকিস্তান সফর করে। দীর্ঘ বিরতির পর যাওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডেরও। তবে নিউজিল্যান্ড সফর করতে গিয়েও  নিরাপত্তার কারণে না খেলে দেশে ফেরত যাওয়ায় বদলে যেতে থাকে বাস্তবতা। 

গত শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ওয়ানডেতে নামার দিনই সিরিজ বাতিল করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তারা পরে বিবৃতিতে জানায়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সতর্ক বার্তা পাওয়ায় সিরিজটি চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। 

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অবশ্য নিউজিল্যান্ডের সিদ্ধান্তে চরম হতাশা জানিয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

6h ago