প্রিমিয়ার লিগেও সেই ব্যর্থতার বৃত্তে মুমিনুল

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এবার চরম হতাশা উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট সংস্করণের অধিনায়ক মুমিনুল হক। ব্যাট হাতে ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিশেষকরে নজর করেছে তার আউট হওয়ার ধরণ। প্রতিপক্ষ বোলারদের বল বুঝতে না পেরে আনাড়িদের মতো আউট হয়েছেন তিনি। তবে ঘরের মাঠে ফিরেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি এ ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে মুমিনুলের দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আবাহনীর দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই খালি হাতে দুই ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। এরপর সে চাপ আরও বাড়িয়ে আউট হন মুমিনুল।
এদিন ইনিংসের প্রথম দুই বলে দারুণ ছন্দে থাকা এনামুল হক বিজয় ও অভিমন্যু ইয়াসবরনকে হারায় প্রাইম ব্যাংক। এরপর মাঠে নামেন মুমিনুল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে শুরু করেন বেশ ধীর গতিতে। তবে খোলস থেকে বের হয়ে রানের গতি বাড়াতে গিয়েই বিদায় নেন তিনি।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলটি অবশ্য কিছুটা নিচু হয়েছিল। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। ব্যাটে বলে করতে পারেননি। ফলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। দলীয় ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপদে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন মুমিনুল।
আগের দিন সকালেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেন মুমিনুল। এক দিন বিশ্রাম নিয়েই নামেন প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে। এবার বেশ বড় অঙ্ক খরচ করেই তাকে দলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। তবে লিগ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সুবিধা করে উঠতে পারলেন না। এদিন অবশ্য বল করেছেন মুমিনুল। চার ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে দিনের সবচেয়ে খরুচে বোলারও তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এবার চার ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র ১৩ রান করেন মুমিনুল। এরমধ্যে দুই বার তিনি শিকার হয়েছেন প্রোটিয়া বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের। বাকি দুইবার আউট হন অফ স্পিনার সাইমন হার্মার ও পেসার উইয়ান মুল্ডারের বলে।
Comments