বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ নিউজিল্যান্ড

স্বপ্নের মতো একটি দিন কাটালো বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিল টাইগাররা। এরপর বাকি দুই সেশনে দেখালো অসাধারণ ব্যাটিং শৈলী। সাম্প্রতিক সময়ে তো বটেই, টেস্ট ক্রিকেটে এমন দিন খুব বেশি দেখেনি বাংলাদেশ। দিন শেষে এ টেস্টে পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে আছে টাইগাররা। বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং অবাক করেছে কিউইদের। ম্যাচ শেষে মুগ্ধতাই ঝরল তাদের কণ্ঠে।

রোববার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ইনিংসে এখনও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ১৫৩ রানে পিছিয়ে আছে তারা। তবে কার্যত এ টেস্টে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে বাংলাদেশই।

বাংলাদেশের এমন অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তার সঙ্গে দারুণ খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। দেখিয়েছেন ধৈর্যের দারুণ প্রদর্শনী। গড়েছেন শতরানের জুটি। তাতেই প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে শান্ত ফিরে গেলেও  ধৈর্যের দারুণ পরীক্ষা দিয়ে অপরাজিত রয়েছেন জয়। ২১১ বল মোকাবেলা করে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।  

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন নিউজিল্যান্ডের পেসার নেইল ওয়াগনার। বিশেষ করে জয়ের ব্যাটিং মনে ধরেছে তার। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'তরুণ ছেলেটা আজ অসাধারণ খেলেছে। তারা ধৈর্য ধরে খেলেছে। আমাদের খুব বেশি সুযোগ দেয়নি। সেখানে (উইকেটে) ঝুলে ছিল। অনেক বল ছেড়েছে। এটা আমাদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে এবং উইকেট নেওয়া কঠিন করে তুলেছে। এটা তাদের রান করার সুযোগ দিয়েছে। পুরো কৃতিত্ব তাদের। আমার মনে হয় যখন রান করার দরকার, তখন তারা করেছে। তারাও ভালো (বল) ছেড়েছে এবং ভালো রক্ষণও করেছে।'

অথচ যে কোনো সংস্করণের ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিং যেন টাইগারদের স্বাভাবিক খেলা। তাতে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়াও নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এদিনও এমন ব্যাটিং প্রত্যাশা ছিল তাদের। কিন্তু টাইগারদের ব্যাটিং কিছুটা হলেও অবাক করেছে তাদের। ওয়াগনারের ভাষায়, 'বাংলাদেশ যখনই এখানে এসেছে সবসময় বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। তারা সবসময় আমাদের কন্ডিশনে ভালো খেলেছে। সাকিবের মতোই ভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে। তারা বেশ আক্রমণাত্মকভাবে খেলে, অনেক শট খেলে। এটা আমাদের উইকেট নেওয়ারও সুযোগ তৈরি করে দেয়। তারা মানসম্পন্ন খেলোয়াড় এবং বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে।'

তবে টেস্ট ক্রিকেট বলেই আশা ছাড়ছেন না ওয়াগনার। আগামীকালই হয়তো তাদের সুযোগ আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন এ পেসার, 'তারা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। লড়াই করেছে। সেখানে কঠিন উইকেট ছিল। টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন একটা দিনে এটা তাদের ভালো দিন। আমি মনে হয় আমরা কঠিন লড়াই করেছি, কিন্তু দুই প্রান্ত থেকে চাপ তৈরি করার মতো যথেষ্ট একত্রিত হতে পারিনি। সবাই সত্যিই অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু এটা আমাদের দিন হয়নি। তবে এটাই টেস্ট ক্রিকেট। আগামীকাল আমাদের আরও কঠিন লড়াই করার এবং তাড়াতাড়ি উইকেট পাওয়ার সুযোগ আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Step up diplomacy as US tariff clock ticks away

Bangladesh must intensify trade diplomacy to protect garment exports from steep US tariffs as the clock runs down on a three-month reprieve, business leaders warned yesterday.

10h ago