বিজয়-পিনাকের হাফসেঞ্চুরিতে দক্ষিণাঞ্চলের দিন

দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের শুরুটা হলো দারুণ। মনে হয়েছিল দুইজনই পেতে যাচ্ছেন তিন অঙ্কের ছোঁয়া। তখনই ঘূর্ণির মায়াজাল বেছান হাসান মুরাদ। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল ওয়াল্টন মধ্যাঞ্চল। তবে দারুণ এক জুটিতে ফের তাদের হতাশা উপহার দেন জাকির হাসান ও ফরহাদ রেজা।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল।
এদিন টস জিতেছিল মধ্যাঞ্চলই। প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দলটি। সকালের শিশিরের সুবিধা আদায় করে নেওয়াই ছিল দলটির লক্ষ্য। কিন্তু তাদের হতাশ করে দারুণ দৃঢ়তা দেখান দক্ষিণাঞ্চলের দুই ওপেনার বিজয় ও পিনাক। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১৩৭ রান।
এরপর মঞ্চে আবির্ভাব হয় হাসান মুরাদের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন তিনি। দুই সেট ব্যাটারকেই ফেরান। পিনাককে বোল্ড করে দেন তিনি। আর বিজয়কে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। উত্তরাঞ্চলকে বড় ধাক্কাটা তৌহিদ হৃদয়কে ফিরিয়ে। খালি হাতে বিদায় করেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে। ফেরান মেহেদী হাসানকেও। তাতে বিনা উইকেটে ১৩৭ রান থেকে ১৮১ রানে যেতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে উত্তরাঞ্চল।
এরপর অধিনায়ক ফরহাদ রেজাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন জাকির হাসান। আসর জুড়ে দারুণ ব্যাট করা জাকির খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। তবে তার চেয়েও আগ্রাসী ছিলেন রেজা। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন এ দুই ব্যাটার।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ১৭১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। পিনাক করেন ৬৫ রান। ১৬১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৬০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে অপরাজিত আছেন জাকির। ৪৭ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করে উইকেটে আছেন রেজা।
মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৭০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান হাসান মুরাদ। ওপর উইকেটটি পান আবু হায়দার রনি।
Comments