বিসিএলের ফাইনালে মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরি

পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় কিছু দিন আগেই বাদ পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসছেন মোহাম্মদ মিঠুন। জাতীয় লিগটা সে অর্থে ভালো না গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দারুণ জ্বলে উঠেছেন তিনি। সে ধারায় এবার ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ ব্যাটার।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিএলের ফাইনালে ওয়াল্টন মধ্যাঞ্চলের হয়ে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ২০৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন মিঠুন।
অবশ্য বিসিএলের প্রথম ম্যাচেই উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি পেতে পারতেন মিঠুন। তবে ১৭৬ রানে থামতে হয় তাকে। তবে এবার ঠিকই পেয়েছেন সেই ম্যাজিক ফিগারের দেখা।
আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। ১০২ রানে অপরাজিত থাকা এ ব্যাটার এদিন শেখ মেহেদী হাসানের বলে মিডঅনে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে পূরণ করে দুইশত রান।
তবে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিঠুন। পাঁচ ওভার পরই রিশাদ হোসেনের বলে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ৩০৬ বলে ২৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে এর আগেই কাজের কাজটি করে গেছেন। সবচেয়ে বড় কথা দলকে এনে দিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত লিড। অথচ দলীয় ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে ছিল দলটি। সেখানে থেকে শুভাগত হোমের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার পাশাপাশি উল্টো লিড পাওয়ার মূল কারিগর তিনি। শুভাগতর সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ২৮৩ রান যোগ করেন মিঠুন।
এরপর শুভাগত ফিরে গেলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীর সঙ্গে ৭৫ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে আউট হন মিঠুন। শেষ পর্যন্ত ৪৩৮ রানের বড় সংগ্রহই পায় দলটি। প্রথম ইনিংসে লিড আসে ৫১ রানের।
এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শুভাগতও। ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২১৯ বলে ১২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ১৩৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন জাকের। ৩৪ রান করেন রবিউল হক।
দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষের ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৪৩ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। হাসান মুরাদের বলে শুরুতেই খালি হাতেই বিদায় নেন উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়। এরপর পিনাক ঘোষ ও অমিত হাসান দলের হাল ধরেছেন। অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন। পিনাক ২২ ও অমিত ২০ রানে উইকেটে আছেন।
Comments