বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি আশা জিইয়ে রেখেছে ইংলিশদের

১৩তম ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩৬ রান। এরপর ২৪.৪ ওভার পর্যন্ত দলটির সংগ্রহ ছিল ওই একই। মাঝে হারায় তিনটি উইকেট। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় ধরে একটি রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা পরিস্থিতিই বলে দেয় ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপের চিত্র।
এবারের অ্যাশেজে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন আপ যেন তাসের ঘর। হুড়মুড় করেই ভেঙে পড়ছে। আগের তিন টেস্টের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ টেস্টেও সেই একই দশা। তবে এদিন এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন জনি বেয়ারস্টো। তার ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে ইংল্যান্ড।
শুক্রবার সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান করে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আগের দিন ৮ উইকেটে ৪১৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে ১০৩ রানে অপরাজিত আছেন বেয়ারস্টো। ১৪০ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ ব্যাটার। নাথান লায়নের বল এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। ১৫০ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪১ বলে ২তি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন উড।
দলের অন্যতম ভরসা অধিনায়ক জো রুট ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার জস বাটলার তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ওপেনার হাসিব হামিদ করেন ৬ রান। আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাউলির ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। ডেভিড মালান ৩ রান করেছেন। তাতে আরও একটি হারের মুখেই আছে সফরকারীরা।
বিনা উইকেটে ১৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ইংলিশরা। তাতে লাভ হয়নি। অজি পেসারদের তোপে পড়ে তারা। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করতেই হারায় ওপেনার হাসিবকে। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ১৪ রান করার ফিরে যান আরেক ওপেনার ক্রাউলিও।
বড় ধাক্কাটা খায় এর পরপরই। দলীয় ৩৬ রানেই ফিরে যান আরও দুই ব্যাটার অধিনায়ক রুট ও মালান। আর ৩৬ রান থেকে ৩৭ রানে যেতে তাদের লাগে প্রায় ৪০ মিনিট সময়। এ সময় দলটি বল মোকাবেলা করে ৭০টি। এক টানা ১১টি মেইডেন নিয়েছেন অজি বোলাররা।
এরপর বেন স্টোকসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বেয়ারস্টো। এ দুই ব্যাটার পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ১২৮ রান। তাতে চাপ কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল দলটি। তবে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন স্টোকস। ক্যামেরন গ্রিনের করা একটি বল তার অফ-স্ট্যাম্পে আঘাত করলেও বেল না পড়ায় বেঁচে যান তিনি।
কিন্তু ৯ রানের ব্যবধানে স্টোকসসহ বাটলারকে হারালে ফের চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। চোখ রাঙায় ফলোঅন। সপ্তম উইকেটে বেয়ারস্টোকে ভালো সঙ্গ দিয়েছিলেন লেজের ব্যাটার মার্ক উড। ৭২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে ফলোঅন এড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু উডকে ফিরিয়ে এ জুটি ভেঙে ফের ইংলিশ শিবিরে ধাক্কা দিয়েছেন অজি অধিনায়ক কামিন্স।
অজিদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড।
Comments