ম্যাথিউসের সঙ্গে লড়াইয়ে পারলেন না মুশফিক

গত বছরের মেতে আইসিসি 'প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' নির্বাচিত হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এক বছর বাদে আবারও সেই মে মাসের সেরা ছেলে ক্রিকেটার হওয়ার হাতছানি ছিল তার সামনে। কিন্তু বাংলাদেশের অভিজ্ঞ তারকা পেরে উঠলেন না শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে লড়াইয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি পেলেন সেরার পুরস্কার।
সোমবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে 'প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' হিসেবে ম্যাথিউসের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভোটে তিনি মুশফিকের পাশাপাশি হারিয়েছেন সতীর্থ পেসার আসিথা ফার্নান্দোকে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর প্রথম লঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে 'প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' হয়ে ইতিহাস গড়লেন ম্যাথিউস।
গত মাসে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দুই সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান করেন ম্যাথিউস। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। মিরপুরে পরের টেস্টে ১৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। অসাধারণ নৈপুণ্যের সুবাদে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেয়েছেন ম্যাথিউস। সবশেষ প্রকাশিত ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে তিনি উঠে গেছেন ১৫ নম্বর স্থানে।
আইসিসির সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যাথিউস বলেছেন, 'আইসিসি "প্লেয়ার অব দ্য মান্থ" হতে পেরে আমি সত্যিই ভীষণ গর্বিত ও আনন্দিত। আমি অভিনন্দন জানাতে চাই আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিকুর রহিমকে, যারা তাদের চমৎকার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে পুরস্কারটি জয়ের দৌড়ে ছিলেন। আমি এই সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ এবং আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য ও আমাকে সহায়তা করার জন্য সৃষ্টিকর্তা, সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিক। দুই সেঞ্চুরিসহ তার ব্যাট থেকে আসে মোট ৩০৩ রান। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে তিনিই প্রথম এই কীর্তি স্থাপন করেন।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিকের সেঞ্চুরিটি ছিল ভীষণ বিপর্যয়ের মাঝে। তিনি যখন উইকেটে যান, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৬ রান। কিছুক্ষণের মধ্যেই রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টাইগাররা। ২৪ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। বাংলাদেশ ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে গেলেও তিনি অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে।
ওই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান তরুণ ডানহাতি বোলার আসিথা। দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সে ১৪৪ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি।
Comments