রশিদ শুধু ভেবেছিলেন ‘যেকোনো কিছুই সম্ভব’
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। এই ধরণের পরিস্থিতিতে বোলারের দিকেই পাল্লা থাকে ভারি। কিন্তু রাহুল তেওয়াতিয়া আর রশিদ খান মিলে কাজটা যেভাবে সারলেন তা জন্ম দিল রোমাঞ্চের। বিশেষ করে শেষ চার বলের তিনটাই ছক্কায় উড়িয়ে নায়ক বনেন আফগানিস্তানের তারকা। ম্যাচ শেষে জানালেন ওই পরিস্থিতিতে তাদের মনে খেলা করছিল যেমন ভাবনা।
সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিপক্ষে ১৯৬ রান তাড়ায় উমরান মালিকের গতির তোড়ে এক পর্যায়ে ব্যাকফুটে ছিল গুজরাট টাইটান্স। শেষ ৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫৬ রান। ২৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়া উমরান থিতু ব্যাটসম্যানদের তুলে নিয়ে কাজটা করে দিয়েছিল দুরূহ। কিন্তু তেওতিয়া-রশিদ সেই জায়গা থেকে মিলিয়ে দেন হিসাব।
মার্কো ইয়ানসেনের করা শেষ ওভারে এক ছক্কা ও একটি সিঙ্গেল নেন তেওতিয়া। রশিদ পরে তিন ছয়ে করেন বাজিমাত। ২১ বলে ৪০ আসে তেওয়াতিয়ার ব্যাট থেকে। রশিদ অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ৩১ রান করে।
রশিদ জানালেন শেষ ওভারের আগে সঙ্গীকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছিলেন তিনি, 'যখন ২২ রান লাগত। আমি তেওয়াতিয়াকে বলেছিলাম আমরা আমাদের শেষ ওভারে ওদের ২৫ রান দিয়েছিলাম, যখন কিনা আমাদের সেরা একজন বোলার (লকি ফার্গুসেন) বল করছিল । কাজেই আতঙ্কিত হওয়া চলবে না। যেকোনো কিছুই সম্ভব। শুধু থাকতে হবে, জায়গা বানিয়ে জোরে মারতে হবে। এটাই পরিকল্পনা ছিল।'
লেগ স্পিন বল করে দুনিয়া মাত করা রশিদ এবার আইপিএলে ব্যাট হাতেও দেখাচ্ছেন ঝলক। জানালেন এটা তার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করারই ফল, 'খুব ভাল লাগছে। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি, শক্তির জায়গায় জোরে মেরেছি। গত দুই বছর ধরেই আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি।'
ব্যাটিং দারুণ করলেও বল হাতে বিবর্ণ ছিলেন এই লেগ স্পিনার। তার ৪ ওভার থেকে ৪৫ রান নিয়ে নেয় প্রতিপক্ষ। রশিদের মতে কয়েকটা বাজে বলই হাতে ফিগার করে দিয়েছে এলোমেলো, 'আমি ৪-৫টা বাজে বল করেছি, যেগুলোতে মার খেয়েছি। এরকম উইকেটে আপনি আপনার লাইন মিস করে পার পাবেন না। এটা ব্যাট করার জন্য খুব ভাল উইকেট ছিল। তবু আমি মনে করি ১৯৬ রানের মধ্যে তাদের আটকাতে পারা একটা ভাল ব্যাপার ছিল।'
Comments