শার্দুলের তোপে বড় লিড পায়নি প্রোটিয়ারা

এক পর্যায়ে মনে হয়েছিলে বড় লিডই পেতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেটে একশর কোটা পার করেছিল দলটি। এরপর আগুন ঝরাতে শুরু করলেন শার্দুল ঠাকুর। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়েই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় লিড পায়নি স্বাগতিকরা।
জোহানেসবার্গে মঙ্গলবার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২২৯ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে প্রথম ইনিংসে ২৭ রানের লিড পেয়েছে তারা। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৮৫ রান করে দিন শেষ করেছে ভারত। সবমিলিয়ে ৫৮ রানে এগিয়ে আছে দলটি।
আগের দিনের ১ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে এদিন ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ডিন এলগারকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন কিগান পিটারসেন। মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহকে ভালোই সামাল দিয়েছেন তারা। গড়েন ৭৪ রানের জুটি। শার্দুল বল হাতে এলেই বদলে যায় পরিস্থিতি। জুটি তো ভাঙেনই, তার তোপ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা।
প্রথম সেশনেই তিন উইকেট তুলে নেওয়া এ পেসার একাই সাতটি উইকেট। টেস্ট তো বটেই এটাই শার্দুলের পুরো ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এমনটা আর করতে পারেননি। এর আগে টেস্টে শার্দুলের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৬১ রানে ৪ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩১ রানে ৬ উইকেট ছিল সেরা বোলিং ফিগার।
শার্দুলের তোপে এক পর্যায়ে উল্টো লিডের পথে ছিল ভারত। কিন্তু শেষ দিকে মার্কো জানসেন ও কেশভ মহারাজ লড়াই চালিয়ে যান। অষ্টম উইকেটে এ দুই ব্যাটারের ৩৮ রানের জুটিতে লিড পায় প্রোটিয়ারাই। এর আগে পঞ্চম উইকেটে কাইল ভেরিনির সঙ্গে টেমবা বাভুমার ৬০ রানের জুটিও ছিল কার্যকরী। শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানে থামে দলটি।
ক্যারিয়ার সসেরা বোলিংয়ে অনন্য কীর্তিও গড়েছেন শার্দুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে কোনো ভারতীয় বোলারের এটাই সেরা বোলিং। টপকে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। ২০১৫ সালে নাগপুরে ৬৬ রানের বিনিময়ে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন এ স্পিনার। শার্দুলের ৬১ রানে ৭ উইকেটই এখন সেরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন পিটারসেন। ১১৮ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া বাভুমার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৬০ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এলগারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তুলেছে ভারত। প্রথম ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ফিরে যান ব্যক্তিগত ৮ রানে। ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে তৃতীয় উইকেটে চেতশ্বর পুজারা ও আজিঙ্কা রাহানের অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটি গড়ে উইকেটে আছেন। পুজারা ৩৫ ও রাহানে ১১ রানে ব্যাট করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন জানসেন ও ডুয়ানে অলিভিয়ের।
Comments