সাউদির তোপের পর কিউই ওপেনারদের দারুণ ব্যাটিং

তিন ব্যাটারের ফিফটিতে কানপুর টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় দিনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। তার মূল কৃতিত্বই পেসার টিম সাউদির। তার তোপে পড়ে দ্বিতীয় দিনে ৮৭ রান তুলতেই শেষ ছয় উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করছেন দুই কিউই ওপেনার।

কানপুরের গ্রিন পার্কে ২১৬ রানে পিছিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। এদিন বিনা উইকেটে ১২৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এর আগে ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

ধারণা করা হচ্ছিল কানপুরে ফাস্ট বোলারদের জন্য পিচে তেমন কিছুই থাকবে না। তবে এক স্পেলই সব বদলে যায় সব। স্পিন সহায়ক পিচে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন সাউদি। প্রথম দিনে চোটগ্রস্থ থাকায় তেমন বোলিং করতে পারেননি তিনি। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই আগুন ঝরালেন এ পেসার। এক স্পেলেই তুলে নেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা ও শ্রেয়াস আইয়ারসহ আরও দুই উইকেট।

সাউদির আগে মাত্র তিনজন নন এশীয় বোলার কানপুরের মাঠে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়েস হল, তার পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান ডেভিডসন এবং ১৯৭৯ সালে আরেক অজি জেফ ডিমক কানপুরে পাঁচ উইকেট পান। এরপর ৪২ বছর পর আবার এমন কীর্তি গড়লেন সাউদি।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতেই রবীন্দ্র জাদেজাকে হারায় দলটি। ভাঙে ১২১ রানের জুটি। এরপর আর কোনো ব্যাটার সে অর্থে দায়িত্ব না পারলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো আর কোনো জুটি।

তবে আগের দিন ৭৫ রানে অপরাজিত থাকা শ্রেয়াস আইয়ার অভিষেক ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন তার সেঞ্চুরি। উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। জাদেজা খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। আট নম্বরে নেমে ৩৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৬৯ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন সাউদি। ৯১ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার কাইল জেমিসনের। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন এজাজ প্যাটেল।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করে অপরাজিত রয়েছেন দুই ওপেনার টম লাথাম ও ইয়ং। পাঁচ বছর পর ভারতের মাটিতে ওপেনিং জুটিতে গড়েছেন শতরানের জুটি। এর আগে সবশেষ ২০১৬ সালে আলিস্টার কুক ও হাসিব হামিদ ১০৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। ১৮০ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৭৫ রান তুলে অপরাজিত আছেন ইয়ং। ১৬৫ বলে ৪টি চারে তার সঙ্গী লাথাম ব্যাট করছেন ৫০ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

1h ago