সাকিবের ‘নৈতিকতার প্রশ্ন’ বাধা হয়নি যে কারণে

Nazmul Hasan & Shakib Al Hasan

বল টেম্পারিংয়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর 'নৈতিকতার' প্রশ্নে নেতৃত্বে ফেরা বাধা হয়েছিল স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। এই কারণেই  স্মিথ ফিরে পাননি তার আগের জায়গা। সাকিব আল হাসান সাজা পেয়েছিলেন আরও অনেক গুরুতর কারণে। জুয়াড়ির তথ্য গোপন করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে এই অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক পদে ফেরানো নিয়ে নৈতিকতার প্রসঙ্গটি বিসিবির কাছে গুরুত্ব পায়নি।

বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের মতো টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব। তার সঙ্গে সহ-অধিনায়ক করা হয় লিটন দাসকে।

২০১৯ সালে দুই সংস্করণের অধিনায়ক থাকার সময়টাতে তিনবার জুয়াড়ির তথ্য গোপন করে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর তার নেতৃত্ব নিয়ে খুব একটা আলোচনা হচ্ছিল না। 

সাকিব নিজেও আইপিএল ও নানা কারণে বাংলাদেশের হয়ে অনেকগুলো ম্যাচ খেলা থেকে বিরত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষে নাটকীয়ভাবে মুমিনুল হক নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর দায়িত্ব পান সাকিব।

বোর্ড সভায় সম্মিলিতভাবে তাকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। পরে গণমাধ্যমে হাজির হয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়েও তারা সভায় আলোচনা করেছেন,  'এইগুলা নিয়ে সব আলোচনা করেই আমরা নিয়েছি। এবং ওর ব্যাপারটা একটু ভিন্ন ছিল। অন্যদের মতো ছিল না। এটা আমি এখানে বলতে চাই না।'

জুয়াড়ির তথ্য গোপন করা, কথোপকথনের কিছু বার্তা মুছে দেওয়ায় সাজা পেলেও সাকিবের নৈতিকতা নিয়ে বড় সন্দেহ রয়ে গেছে। তবে বোর্ড সভাপতি জানান, অন্যদের সাজার সঙ্গে আইসিসির দেওয়া ব্যাখ্যায় আছে তফাৎ, সেখানে তারা কোন বাধা পাননি,  'টেস্ট আমাদের কাছে যে বিকল্পগুলো ছিল, আমাদের মনে হয়েছে এটাই বেস্ট অপশন। অন্যদের সঙ্গে এবং তার ব্যাপারে আইসিসি শাস্তি দিয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে একটা বড় তফাৎ আছে। পরিষ্কার পার্থক্য আছে। আপনারা পড়ে দেখেন, আপনারা নিজেই বুঝতে পারবেন।'

স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে টেম্পারিংয়ের দায়ে আইসিসি কোন কড়া সাজা দেয়নি। কারণ টেম্পারিং করার শাস্তি আইনে খুবই সীমিত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের অভ্যন্তরীণ নৈতিকতায় কড়া শাস্তির পথে হেঁটেছিল। বল টেম্পারিং ক্রিকটে একটা পর্যায়ে ক্রিকেটে বৈধ করে দেওয়ার মতও দিয়ে থাকেন অনেক সাবেক ক্রিকেটার। সেই জায়গায় জুয়াড়ির তথ্য গোপন করা অতি গুরুতর ঘটনা। নৈতিকতার প্রশ্ন এখানে আরও বেশি। কিন্তু বিসিবি প্রধান বরং সাকিবের ঘটনাকেই দেখছে 'হালকা' হিসেবে।

Comments

The Daily Star  | English

The Daily Star, HSBC honour high achievers in O- and A-Level exams

To commemorate the victims of the July Uprising, the programme began with a one-minute silence, followed by the rendition of the national anthem

1h ago