থাকতে চেয়েছিলেন গিবসন, যোগাযোগ করেনি বিসিবির কেউই!

Ottis Gibson
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তি আর বাড়াচ্ছেন না ওটিস গিবসন। বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত হয়ে যায় তার বাংলাদেশ ছাড়ার খবর।  তবে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে ক্যারিবিয়ান এই কোচের কথায় আভাস, বাংলাদেশে আরও কাজ করার আগ্রহ ছিল তার, আগ্রহ দেখায়নি বরং বিসিবিই!

সময়টা এত ভালো যাচ্ছিল, মাত্রই নিউজিল্যান্ডে এমন স্মরণীয় জয় এলো। এমন অবস্থায় আপনি বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের চাকরিটা ছেড়ে দিলেন?

গিবসন: চাকরি ছেড়ে দিয়েছি এটা বললে ভুল হয়। আমার চুক্তির মেয়াদ আসলে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। সেই মেয়াদ আর বাড়ছে না বলতে পারেন।

আরও পড়ুন-  গিবসন থাকলে হয়ত আরও অনেক কিছু শিখতে পারতাম: ইবাদত

সেই মেয়াদ কেন বাড়ছে না? কার অনাগ্রহ?

গিবসন:  আপনি বিসিবিকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন তারা চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিল কিনা, চাইলে সেটা কবে?

ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস  বললেন আপনাকে নতুন চুক্তির ব্যাপারে তারা ফোন করেছিলেন

গিবসন: কবে কখন তারা আমাকে ফোন করলেন? কে ফোন করলেন?

বিসিবির দায়িত্বশীল ব্যক্তিই ফোন করেছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরচলাকীন সময়টাতেই, আপনার বাংলাদেশের ফেরার টিকেটও নাকি কেটে রাখা ছিল?

গিবসন: আপনি জানতে পেরেছেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিটা কে?

ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান বা বিসিবির সিইও- এই দুজনের একজন হবেন

গিবসন:  শুনেন বিসিবি থেকে কেউ আমার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোন যোগাযোগই করেনি, কেউ ফোন করেনি। নিজাম চৌধুরী বা ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান কেউই না।  তাদের কাছ থেকে আমি কোন রেসপন্স পাইনি। আমি গত ২৯ ডিসেম্বর সিইও নিজামউদ্দিনের কাছে একটি ই-মেইল করেছিলাম, তিনি সেটিরও রেস্পন্স করেননি। খালেদ মাহমুদ সুজন এখানে ছিলেন, উনার সঙ্গে এমনিতে কথা হয়েছে। কিন্তু আমার থাকা, না থাকা নিয়ে কি হতে যাচ্ছেন তিনি বলেছেন তিনি জানেন না,  তিনি কোন মতামত দিতে চাননি।

নতুন চুক্তির বিষয়ে কি বিসিবির সঙ্গেও আগেও কখনো আলাপ হয়নি?

গিবসন:  বিশ্বকাপের আগে শুধু প্রধান কোচের (রাসেল ডমিঙ্গো) সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়। বিশ্বকাপের সময় রায়ান কুকের (ফিল্ডিং কোচ) চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বকাপের পর কেউই তার সঙ্গে কথা বলেনি। আমরা সবাই যখন বাড়ি ফিরে গেলাম তখন তাকে একটা মেইল পাঠানো হলো যে তাকে আর দরকার নেই। তখন আমার আগের চুক্তির ৬০ দিনের বেশি সময় বাকি ছিল তাই নতুন চুক্তি ওই সময় হয়নি। এখন যখন সময় ঘনিয়ে এসেছে তখন আলাপের বাস্তবতা ছিল, কিন্তু সেই আলাপটা তারা করেনি। এই ব্যাপারে কোন কথাই তারা তুলেনি। আমি যে এখানে থাকব সে জন্য কোন আভাস ছিল না।

পেস বোলাররা সবাই আপনার সঙ্গে কাজ করে ভীষণ উপকার পাওয়ার কথা বলেছে। তাদের সঙ্গে কাজ করা কতটা উপভোগ্য ছিল?

গিবসন: সবার সঙ্গেই আমার খুব ভালো সম্পর্ক। তারা উপকার পেয়েছে জেনে আমি আনন্দিত। তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের  পেস বোলিংটাকে উন্নত করতে চেয়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

‘As a freedom fighter, I have the right to live in peace’

Fazlur Rahman voices concern for his and family’s safety as protesters besiege his Dhaka home

50m ago