সৌম্যের লড়াই নিজের সঙ্গেই
টেস্ট বিবেচনায় নেই অনেকদিন। সম্প্রতি ওয়ানডে দলেও জায়গা হারিয়েছেন সৌম্য সরকার। টি-টোয়েন্টিতে টিকে আছেন, কিন্তু এই সংস্করণে ওপেনারদের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হয়ে আসা সৌম্য মনে করেন তার লড়াই নিজের সঙ্গেই।
বৃহস্পতিবার হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারায় বাংলাদেশ। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং তিন বিভাগেই তাতে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন সৌম্য।
জিম্বাবুয়েকে ১৫২ রানে আটকে দিতে দারুণ এক ক্যাচ আর বল হাতে ১ উইকেট পান সৌম্য। পরে ওপেন করতে নেমে নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। ওপেনিং জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে যা বাংলাদেশের প্রথম। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৫০ রান।
শেষ ৬ টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে এলো তিন ফিফটি। অন্য ওপেনাররাও ভাল করায় এই জায়গায় লড়াইটাও জম্পেশ। তবে সৌম্যর মতে লড়াই তার নিজের সঙ্গেই, ‘সবচেয়ে বড় লড়াই হচ্ছে নিজের সঙ্গে। নিজে যদি ভালো খেলি অবশ্যই (সুযোগ থাকবে)। এইগুলা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে নিজের উপরে চাপ আনতে চাই না। অবশ্যই নিজের খেলাটা নিজে খেলতে থাকি। অবশ্যই নিজের জায়গা (ওয়ানডেতেও) আবার ফিরে পাব।’
এদিন অবশ্য ওপেন করতে নামার কথাই ছিল না তার। ফিল্ডিংয়ে লিটন দাস চোটে পড়ায় আসে সুযোগ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রান বের করতে ভুগছিলেন সৌম্য। মারার ইন্টেন্ট থাকলেও ফাঁকা জায়গা বের করতে পারছিলেন না। এর কারণ হিসেবে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলার জড়তা দেখছেন তিনি, ‘চার মাস হয়ে গেছে, শেষ নিউজিল্যান্ডে খেলেছিলাম। তাই নেমে একটু জড়সড় লাগছিল। প্রথম কয়েক বলে যে শটগুলা খেলেছি একদম হাতে চলে যাচ্ছিল। তখন নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছিলাম। না একটু সময় নেওয়া উচিত, কয়েকটা বল খেলে তারপর চার বা ছয় আসলে নিজের মতো করে যাওয়া যাবে। ওইটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তারপর আমার পছন্দের একটা বল পেয়ে ছয় মেরেছি। তখন আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। আর উইকেটে নাঈমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল যে যেহেতু রান হচ্ছিল না বলছিলাম, একটা ওভার ১০-১২ আসলে আমরা কাভার করে ফেলব। নাঈম একটা ওভারে তিনটা চার মারে, তারপরে খেলাটা আমাদের দিকে আসে। এরপর চালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি।’
দলের ১০২ রান তার ইনিংস থামে রান আউটে। সৌম্য মনে করেন তখন আউট না হলে খেলাটা আরও দুই ওভার আগে শেষ করে দিতে পারতেন তিনি।
Comments