স্পিন শক্তি বাড়ানোর ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া

মন্থর-টার্নিং উইকেট হলেও একাদশে তিন পেসার খেলাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। পেসারদের দিয়েই করাচ্ছে বেশিরভাগ ওভার। তবে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর এই ভাবনায় আসতে পারে বদল। উইকেটের কন্ডিশন বুঝে স্পিনারদের দিয়ে আরও বেশি ওভার বল করানোর ভাবনা কাজ করছে তাদের মাথায়।
মিরপুরের উইকেটে ধীর গতির বোলাররাই বরাবর পান সাফল্য। পেসারদেরও এখানে সাফল্য পাওয়ার মূল মন্ত্র গতি বৈচিত্র্য।
অ্যান্ড্রু টাই নাকাল বল আর স্লোয়ারে চেষ্টা করছেন। জশ হ্যাজেলউডও গতি বৈচিত্র্য আনছেন। কিন্তু মিচেল স্টার্কের মূল স্কিলই গতি, স্যুয়িং আর লেন্থ নির্ভর। দুই ম্যাচে গতি দিয়ে ৩ উইকেট পেলেও দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার তিনিই। প্রথম ম্যাচে তার ইকোনমি রেট ছিল ৮.২৫, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯.৩৩! লো স্কোরিং ম্যাচে যা বেশ খরুচে।
মূল পাঁচ বোলারের বাইরে এখন পর্যন্ত কেবল মিচেল মার্শকে ১ ওভার করিয়েছেন ম্যাথু ওয়েড। তবে মার্শও মিডিয়াম পেসার। দলে থাকা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাস্টন টার্নারকে দিয়ে এখনো বল করানো হয়নি। বাংলাদেশ একাদশে প্রচুর বাঁহাতি থাকলেও অজিরা সে পথে হাঁটেনি।
তবে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার আভাস দিলেন, পরের খেলাগুলোতে স্পিনারদের দায়িত্ব বাড়ানোর দিকে যেতে পারে তাদের দল, 'অবশ্যই এটা একটা বিকল্প। আমাদের কিছু স্পিনার বেঞ্চে বসে আছে। মিচেল সোয়েপসন আর তানভীর সাঙ্ঘা আছে। অবশ্যই অ্যাস্টন টার্নার ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেশ ভালো বল করেছে, সেও বল করতে পারে। আমরা উইকেট দেখে যা বুঝলাম স্লো বোলাররাই এখানে মূল ভূমিকা নিচ্ছে। এটা অবশ্যই হতে পারে। এটা নির্ভর করবে দলের উপর।'
বোলিং তবু জুতসই হচ্ছে। ব্যাটিং নিয়েই যত ভোগান্তি সফরকারীদের। সিরিজে ফিরতে হলে শুক্রবার বাংলাদেশকে হারাতেই হবে। সে লক্ষ্যে সতর্ক পথে হাঁটাকে বড় উপায় ভাবছেন অ্যাগার, 'খেলাটা যত গভীরে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা দেখতে হবে। উইকেট টিকিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে, আমার মনে হয় এটা সেরা একটা পথ হতে পারে। ঝুঁকি নেওয়ার জন্য খুবই কঠিন উইকেট। আমরা যদি পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু পাই তাহলে সেটা সম্ভব। আগের দিন শুরুটা ভাল ছিল আলেক্স ক্যারি রিভার্স সুইপে রান এনেছিল। পরে মার্শ কিছু রান বের করেছি। কিন্তু আমরা শেষ দিকে ভাল করতে পারিনি।'
Comments