হাভার্টজের স্বপ্নপূরণ!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও জয়সূচক গোলটি এসেছিল তার কাছ থেকে। তাতে ইউরোপ সেরার মর্যাদা পায় চেলসি। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালেও পার্থক্য গড়ে দিলেন তিনিই। এবার ক্লাবটি হয় বিশ্বসেরা। এমন কীর্তির পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত কাই হাভার্টজ। শৈশব থেকেই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখে আসছিলেন এ জার্মান তরুণ।
শনিবার আবু ধাবির মোহামেদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। শেষ দিকে হাভার্টজের পেনাল্টি গোলে প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতল চেলসি।
ম্যাচ শেষে নিজের উচ্ছ্বাস গোপন রাখতে পারেননি হাভার্টজ, 'এটা অসাধারণ অনুভূতি। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমরা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এটা ভালো শোনাচ্ছে...। আমার সতীর্থরা আমাকে আস্থা দিয়েছে। আমি শৈশব থেকেই সবসময় এই স্বপ্ন দেখে এসেছি। এটা আমার জন্য একটি আশ্চর্যজনক এক অনুভূতি।'
অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটির ১১৭তম মিনিটে সফল স্পটকিক থেকে জয়সূচক গোলটি করেন হাভার্টজ। শট নেওয়ার সময় তাকে স্বাভাবিক দেখালেও বেশ নার্ভাস ছিলেন বলেই জানান এ তরুণ, 'সত্যি বলতে কি, আমি (পেনাল্টি নেওয়ার সময়ে) নার্ভাস ছিলাম। এটা একটা বড় শাস্তি। এটা পাগলামিও। নার্ভাসে থাকা আমার জন্য ভালো ছিল। আমি খুব খুশি।'
শেষদিকে হাভার্টজ স্নায়ুচাপ উতরে লক্ষ্যভেদ করতে পারায় দারুণ খুশি কোচ টমাস টুখেলও, 'পেনাল্টি নেওয়ার সময় তাকে (হাভার্টজ) নার্ভাস দেখায়নি তবে নিশ্চিতভাবেই ও ছিল। এই পরিস্থিতিতে আপনি নার্ভাস হতে পারবেন না। আমরা পরিসংখ্যানে বিশ্বাস করেছি এবং আমি তার উপর খুশি।'
Comments