আগুয়েরোর অবসর গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন জাভি
হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া সার্জিও আগুয়েরোর অবসর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। জেরার্দ রোমেরো, ফ্যাব্রিজিও রোমানোর মতো প্রখ্যাত সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন, শারীরিক কারণে বাধ্য হয়ে শিগগিরই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ইতোমধ্যে তিনি পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনাকে অবহিতও করেছেন। তবে স্প্যানিশ দলটির নতুন কোচ জাভি হার্নান্দেজ উড়িয়ে দিয়েছেন আগুয়েরোর অবসর নেওয়ার জল্পনা-কল্পনা।
বার্সেলোনার কোচ হিসেবে জাভির পথচলা শুরু হয়েছে পূর্ণ পয়েন্ট প্রাপ্তির মাধ্যমে। শনিবার রাতে লা লিগায় ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে শহর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়লকে কাতালানরা হারিয়েছে ১-০ গোলে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন মেম্ফিস ডিপাই। স্বস্তির জয়ের পর ৩৩ বছর বয়সী আগুয়েরোর বিষয়ে মুখ খুলতে হয় স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো জেতা জাভিকে।
বার্সেলোনার সাবেক তারকা মিডফিল্ডার জাভি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগুয়েরোর অবসর নিয়ে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে, 'যেসব খবর বেরিয়েছে, সেগুলো সত্য নয়। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে সুস্থ ও খুশি আছে। আমি তাকে বলেছি যে যখনই সে ঠিকঠাক অনুভব করবে, তখনই সে দলে ফিরতে পারবে।'
গত অক্টোবরের শেষদিকে লা লিগায় আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচের ৪২তম মিনিট বুকে ব্যথা অনুভব করেন আগুয়েরো। তৎক্ষণাৎ মাঠে শুয়ে পড়েন তিনি। তখন ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সবাই। এরপর সেখান থেকে তাকে সরাসরি নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। অ্যারিথমিয়া বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনে ভুগছেন আগুয়েরো। পরে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বার্সেলোনা জানায়, অন্তত তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে আগুয়েরোকে। অর্থাৎ চলতি বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না তার।
চলতি মৌসুমের শুরুতে বিনা ট্রান্সফার ফিতে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে বার্সায় নাম লেখান আগুয়েরো। তবে চোট সঙ্গে করেই স্পেনে এসেছিলেন তিনি। মাংসপেশির ওই চোটে প্রথম দুই মাস মাঠে নামা হয়নি তার। সেই চোট থেকে সেরে উঠলেও হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়ায় আগুয়েরোর ক্যারিয়ারই এখন হুমকির মুখে। নতুন ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে এক গোল করেছেন তিনি। তার সেই গোল এসেছে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
Comments