ইউক্রেনকে গুঁড়িয়ে ২৫ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

শনিবার রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আসরের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশরা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ইউক্রেন দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল হজম করে।

আগের চার ম্যাচে একটি গোলও হজম না করা ইংল্যান্ড আরও একবার অক্ষত রাখল নিজেদের গোলপোস্ট। সেইসঙ্গে তারা মেতে উঠল প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠানোর উৎসবে। প্রথমার্ধে লড়াইয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর খুঁজে পাওয়া গেল না ইউক্রেনকে। তাদেরকে গুঁড়িয়ে দাপট দেখিয়ে ইউরো ২০২০-এর সেমিফাইনালে পা রাখল গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

শনিবার রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আসরের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশরা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া ইউক্রেন দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল হজম করে। জোড়া গোল করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এছাড়া, জালের ঠিকানা খুঁজে নেন হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও জর্ডান হেন্ডারসন।

২৫ বছর পর ইউরোর সেমির টিকিট পেল ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালের আসরে ঘরের মাটিতে তারা হয়েছিল তৃতীয়।

গোটা ম্যাচে দাপট ছিল ইংল্যান্ডের। তারা গোলমুখে মোট দশটি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ছয়টি। অন্যদিকে, কোচ আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর ইউক্রেনের সাতটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।

শেষ ষোলোতে জার্মানিকে হারানো ইংল্যান্ডের শুরুটা হয় দারুণ। চতুর্থ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের রক্ষণচেরা পাসে ইউক্রেনের গোলরক্ষক হিওর্হাই বুশচানকে পরাস্ত করেন স্ট্রাইকার কেইন।

১৭তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে দিতে হয় পরীক্ষা। ডি-বক্সে ঢুকে রোমান ইয়েরেমচুকের নেওয়া শট ফাঁকি দিতে পারেনি তাকে। ৩৩তম মিনিটে ইংল্যান্ড আবার ভীতি ছড়ায় প্রতিপক্ষের রক্ষণে। ডেকলান রাইসের শট ফিরিয়ে দেন বুশচান।

প্রথমার্ধের বাকি সময়ে জমজমাট ভাব আর থাকেনি। খেলা বেশ মন্থর হয়ে পড়ে। ৪৪তম মিনিটে অবশ্য গোল শোধের সুযোগ পায় ইউক্রেন। তবে ওলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ক্রস প্রতিহত হওয়ার পর মিকোলা শাপারেঙ্কোর শট লক্ষ্যে থাকেনি।

বিরতির পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ইউক্রেনকে লড়াই থেকে ছিটকে দেয় ইংল্যান্ড। ৪৬তম মিনিটে লেফট-ব্যাক লুক শয়ের ক্রসে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন সেন্টার-ব্যাক ম্যাগুইয়ার। ৫০তম মিনিটে ফের শয়ের অ্যাসিস্ট। এবারে গোলমুখ থেকে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কেইন। চলতি আসরে এটি তার তৃতীয় গোল।

৬২তম মিনিটে কেইনকে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত করলেও পরের মিনিটেই ইংল্যান্ডকে উল্লাসে মাতান বদলি মিদফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন। ম্যাসন মাউন্টের ক্রসে তার হেডে বল অতিক্রম করে যায় গোললাইন।

বাকি সময়ে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইংলিশরা। ৭৫তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছিলেন ইউক্রেনের বদলি ইয়েভেনি মাকারেঙ্কো। তার ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট রুখে দেন পিকফোর্ড। এবারের ইউরো পাঁচ ম্যাচ খেলেও দলকে একটিও গোল হজম করতে দেননি তিনি।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার রাতে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে থ্রি লায়ন্সরা। ওই ম্যাচে নিজেদের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধা পাবে তারা। কারণ, ম্যাচটি হবে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।

Comments

The Daily Star  | English
Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

The crawling peg system for the taka is a delayed response to reserve erosion

2h ago