ক্লপের বলয় পূরণ

২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলের দায়িত্ব নেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। তখন তারা লিগ টেবিলের মাঝামাঝি সারির একটি দল। সঙ্গে অনেক বছরের শিরোপা খরা। সেই দলটি ধীরে ধীরে গোছাতে থাকেন এ কোচ। এরপর জিততে থাকেন একের পর এক শিরোপা। আগের দিন এফএ কাপ জয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতে নিলেন ক্লপ। ইংল্যান্ডে শিরোপা জয়ের একটি বলয় পূরণ করলেন এ জার্মান।
লিভারপুলের হয়ে ক্লপের অর্জনগুলোর মাত্রাও অনন্য। এক ইংলিশ লিগের শিরোপার আক্ষেপ ঘোচান ৩০ বছর পর। আগের দিন ১৬ বছর পর এনে দিলেন এফএ কাপ। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও আনেন ১৪ বছর পর। উয়েফা সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নও হয় দলটি ১৪ বছর। কিছুদিন আগে পাওয়া কারাবাও কাপটা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০ বছর। আর ক্লাব বিশ্বকাপ তো প্রথমবারের মতো এনে দিয়েছেন ক্লপ। সবমিলিয়ে অবিশ্বাস্য।
এ মুহূর্তে তাই লিভারপুলের সবচেয়ে আদুরে মানুষটির নাম ক্লপ। দলে হয়তো দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। ২০১৫ সালে যোগ দেওয়ার পর কেবল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন, জেমস মিলনার ও ডিভক ওরিগি রয়েছেন পুরনো খেলোয়াড় হিসেবে। আর বাকি সব মাঝারী সারির খেলোয়াড়দের বেছে বেছে দলে টানেন এ জার্মান। তখন তাদের প্রায় কেউই তারকা ছিলেন না। এ জার্মান কোচের অধীনে তারাই এখন তারকা বনে গেছেন।
এমন কীর্তি পর দারুণ উচ্ছ্বসিত ক্লপ, 'অসাধারণ, এটি ছিল চেলসির বিপক্ষে একটি অবিশ্বাস্য, তীব্রতর একটি ম্যাচ। তারাও ঠিক একইভাবে এর (জয়) প্রাপ্য ছিল, যেমন কারাবাও কাপে - এই ব্যবধান কত ছোট। আমি আমার ছেলেদের নিয়ে এরচেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারি না। তারা যে পরিবর্তন করেছে, তারা কতটা কঠিন লড়াই করেছে। এই সব কিছু, ভালো সুযোগ মিস করা, চেলসির কাছ থেকে ভালো মুহূর্তগুলো কাটিয়ে ওঠা, তারপর নিজেরা সত্যিই ভালো মুহূর্ত কাটানো।'
'তারপর পেনাল্টি শুটআউটে, অনেক স্নায়ুচাপ ছিল, আমার নখ চলে গেছে কিন্তু আমি সত্যিই চেলসির জন্য দুঃখ অনুভব করছি। দ্বিতীয়বার, ১২০ মিনিট এবং আপনি কিছুই পাননি, এটি খুব কঠিন। কিন্তু আমাদের জন্য আমি বেশ খুশি। আমরা মানসিকতার দানব কিন্তু নীল রঙেও মানসিকতার দানব ছিল। এটি একটি পেনাল্টি ছিল। চেলসি অসামান্য খেলেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন বিজয়ী হতে হবে এবং আজ আমরা ছিলাম।'
Comments