ছয় গোলের ম্যাচ সমতায় শেষ হলেও শেষ চারে লিভারপুল
পিছিয়ে পড়েও দারুণ লড়াই উপহার দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। কিন্তু গোল উৎসবের ম্যাচে শক্তিশালী লিভারপুলকে রুখে দিলেও হলো না তাদের লক্ষ্যপূরণ। প্রথম লেগে জেতার কল্যাণে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে কোয়ার্টার ফাইনালের রোমাঞ্চকর দ্বিতীয় লেগে বেনফিকার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে ইংলিশ পরাশক্তি লিভারপুল। দুই দলের আগের দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিল দলটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় আসরের শেষ চারের টিকিট পেয়েছে অলরেডরা।
ফাইনালে ওঠার দ্বৈরথে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। আগের রাতে চমক দেখিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় করে দিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে।
গোটা ম্যাচে ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে লিভারপুল। প্রথম লেগের একাদশে সাত পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১৭টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে ছয়টি। বিপরীতে, বেনফিকার নেওয়া ছয়টি মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে কসতাস সিমিকাসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ইব্রাহিমা কোনাতে। কিছুক্ষণ পর বেনফিকার দারউইন নুনেজ বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ৩২তম মিনিটে অবশ্য উল্লাসে মাতে সফরকারীরা। ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন গনসালো রামোস।
বিরতির পর আক্রমণে আরও মনোযোগী হয় লিভারপুল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন রবার্তো ফিরমিনো। ৫৫তম মিনিটে বেনফিকার রক্ষণভাগ বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে জোতার পাসে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর ৬৫তম মিনিটে সিমিকাসের দর্শনীয় ফ্রি-কিকে ভলিতে জাল কাঁপান ফিরমিনো।
যখন মনে হচ্ছিল যে ক্লপের দল সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছে, তখনই ম্যাচে ফেরে বেনফিকা। ৭৩তম মিনিটে অ্যালেক্স গ্রিমালদোর পাসে অ্যালিসনকে কাটিয়ে গোল করে ব্যবধান কমান রোমান ইয়েরেমচুক। শুরুতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। আট মিনিট পর ম্যাচে সমতা টানেন নুনেজ। জোয়াও মারিওর নিখুঁত পাসে নিশানা ভেদ করেন তিনি। এই দফায়ও একই ঘটনা ঘটে। লাইন্সম্যানের অফসাইডের রায় বদলে যায় ভিএআরে।
শেষদিকে মোহামেদ সালাহর পাসে সাদিও মানে বল পাঠিয়েছিলেন বেনফিকার জালে। তবে লিভারপুলের দুই বদলির সমন্বয়ের ফল টেকেনি রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজানোয়। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে নুনেজের লক্ষ্যভেদও একই কারণে বাতিল হয়।
Comments