নয়টি সেভ করা কোর্তোয়া বললেন, 'আমিই গড়েছি পার্থক্য'

ছবি: টুইটার

লিভারপুলের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন থিবো কোর্তোয়া। একের পর এক অবিশ্বাস্য সেভ করে অক্ষত রাখলেন তিনি গোলপোস্ট। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের লক্ষ্যভেদে রিয়াল মাদ্রিদ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলেও আলো কেড়ে নিলেন এই গোলরক্ষক। শেষ বাঁশি বাজার পর কোর্তোয়া বললেন, ফাইনালে তিনিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।

শনিবার রাতে প্যারিসের স্তাদে দে ফ্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। ইউরোপের সর্বোচ্চ এই ক্লাব আসরে এটি স্প্যানিশ পরাশক্তিদের রেকর্ড ১৪তম শিরোপা। ৫৯তম মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের পাস থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস। তবে কার্লো আনচেলত্তির দলের জয়ের মূল কৃতিত্ব দীর্ঘদেহী কোর্তোয়ার।

রোমাঞ্চকর ফাইনালে চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য উপহার দেওয়া কোর্তোয়া ম্যাচের পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিটি স্পোর্টসকে বলেছেন, 'আমি সত্যিই খুব খুশি এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত। আমার যখন যখন থাকা উচিত ছিল, তখন তখন আমি দলের জন্য ছিলাম। আমরা আমাদের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোকে হারিয়েছি। লিভারপুল অনেক কঠিন লড়াই করেছে। আমি মনে করি, আমি আজ দারুণ একটি ম্যাচ খেলেছি এবং সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'

ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের বিপক্ষে নয়টি সেভ করেন কোর্তোয়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর যা কোনো গোলরক্ষকের সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের গোলমুখে ২৪টি শট নেন মোহামেদ সালাহ-সাদিও মানেরা। তবে নয়টি লক্ষ্যে থাকলেও কোর্তোয়ার গ্লাভস এড়িয়ে কোনোটিই খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। অন্যদিকে, অলরেডদের গোলমুখে মাত্র চারটি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখে রিয়াল।

৩০ বছর বয়সী কোর্তোয়া স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফাইনালের আগে তার বলা কিছু কথা, 'আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আমি বলেছিলাম, রিয়াল মাদ্রিদ যখন ফাইনালে খেলে, তখন তারা কেবলই জিতে।'

২০১৮ সালে রিয়ালে পাড়ি জমানোর আগে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসির প্রতিনিধিত্ব করতেন কোর্তোয়া। ব্লুজদের জার্সিতে দুবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতাও আছে তার। তবে ইংল্যান্ডে থাকাকালে প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি, 'আমি অনেকগুলো টুইট দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে, আমি নাকানিচোবানি খাব। ক্যারিয়ারের জন্য, সমস্ত কঠোর পরিশ্রমের জন্য, আমার নামের পাশে সম্মান যুক্ত করার জন্য আজ আমার একটি ফাইনাল জেতার দরকার ছিল। কারণ, আমি মনে করি না আমাকে, বিশেষ করে, ইংল্যান্ডে যোগ্য সম্মান করা হয়। অনেক সমালোচনা দেখেছি যে আমি যথেষ্ট ভালো না বা এই জাতীয় কিছু।'

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago