পেরেজের অডিও মুছে ফেলতে চাওয়া হয়েছিল ১ কোটি ইউরো

ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক ফাঁস হচ্ছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের আপত্তিকর সব মন্তব্যের অডিও ক্লিপ। রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি কাউকেই যেন রেহাই দেননি! ব্যক্তিগত ঝামেলার জেরে তিনি দুর্নাম করেছেন স্পেনের সফলতম ক্লাবটির কিংবদন্তি খেলোয়াড় ইকার ক্যাসিয়াস, রাউল গঞ্জালেজ ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর নামে। সেই তালিকায় আছেন তাদের সাবেক কোচ জোসে মরিনহো আর ভিসেন্তে দেল বস্কও।

পেরেজের অডিও প্রকাশ্যে এসেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়াল। সেখানে ২০০৬ সালের কথাবার্তা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ২০১২ সালেরও। ক্লিপগুলো যার সংগ্রহে রয়েছে, সেই সাংবাদিক হোসে আন্তোনিও আবেয়ানও আলোচনার কেন্দ্রে স্থান করে নিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ তুলেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার নিজেদের স্প্যানিশ ভাষার অফিসিয়াল টুইটার পেজে তারা লিখেছে, অডিও ফাইলগুলো ডিলিট করার বিনিময়ে ১ কোটি ইউরো দাবি করেছিলেন আবেয়ান।

আরেক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা আগেই জানিয়েছিল যে, এল কনফিডেনশিয়াল ও আবেয়ানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন পেরেজ। তিনি অডিও ফাঁসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। তবে গোটা পরিস্থিতি নতুন দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ ওঠায়।

সম্প্রতি স্পেনের রেডিও স্টেশন ওনদা চেরোর এল ত্রানসিস্তর নামক অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সাংবাদিক কার্লোস বুস্তিয়ো বলেছেন, ‘তিনি (আবেয়ান) মাদ্রিদের কম্বাররো রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ তার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।’

পরে বুস্তিয়োর দাবিকে টুইটার পেজে তুলে ধরেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আবেয়ানের ১ কোটি ইউরো চাওয়ার ঘটনাটি ২০১১ সালে ঘটেছিল। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন রিয়ালের সহ-সভাপতি এদুয়ার্দো ফার্নান্দেজ দে ব্লাস। অডিও ক্লিপগুলো অবৈধভাবে রেকর্ড করা এবং সেগুলোতে কারসাজি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাউল ও ক্যাসিয়াসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করা অডিও ক্লিপ নিয়ে পেরেজ বলেছিলেন, ‘প্রকাশিত কথাগুলো ছিল কথোপকথনের অংশবিশেষ, যা রেকর্ড করেছিলেন হোসে আন্তোনিও আবেলান। অনেক বছর ধরে তিনি এই রেকর্ড বিক্রির চেষ্টা করেও পারেননি। আমি এটায় বিস্মিত হচ্ছি যে, এটা আজ (মঙ্গলবার) এল কনফিডেনশিয়ালের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে! যদিও অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।’

Comments