বায়ার্ন থেকে মনই উঠে গেছে লেভানদোভস্কির!

বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। ক্লাবে সুখেও ছিলেন বেশ। কিন্তু হুট করেই কি যেন হয়ে গেছে রবার্ট লেভানদোভস্কির। চলতি মৌসুমেই দল ছাড়তে মরিয়া এ তারকা। যদিও তাকে ছাড়তে নারাজ বাভারিয়ানরা। তবে চেষ্টা করেও তাকে আটকাতে পারবেন না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন এ পোলিশ তারকা। তার 'ভেতরে কিছু একটা মারা গেছে' বলেই জানিয়েছেন তিনি। মানে পরিষ্কার, এই ক্লাবে খেলার আর ইচ্ছাই নেই তার।

অবশ্য গত মৌসুম শেষেই নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে বায়ার্ন ছাড়ার কথা ক্লাবকে জানিয়েছিলেন লেভা। তবে সে সময় তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রেখে দেয় ক্লাবটি। কিন্তু এ মৌসুমে যে এমনটা হচ্ছে না তার কথাই পরিষ্কার। সম্প্রতি ওয়ানস্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'তারা শেষ পর্যন্ত আমার কথা শুনতে চায়নি। আমার ভিতরে কিছু মারা গেছে, এবং এটি অতিক্রম করে ওঠা অসম্ভব। এমনকি আপনি যদি পেশাদার হতে চান তবে আপনি এটির জন্য তৈরি করতে পারবেন না।'

লম্বা সময় ধরে বায়ার্নের প্রতি তার নিবেদনের কারণেই কোনো ঝামেলা না করে একটা সমাধানের প্রত্যাশা করছেন এ পোলিশ তারকা, 'আপনি যখন এতো বছর ধরে ক্লাবে ছিলেন, আপনি সবসময় প্রস্তুত ছিলেন, আপনি সবসময় দলের সঙ্গেই ছিলেন, আঘাত এবং ব্যথা সত্ত্বেও আপনি আপনার সেরাটা দিয়েছিলেন, তখন আমি মনে করি উভয় পক্ষের জন্য একটি ভালো সমাধান খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে ভালো হবে। এবং একতরফা সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।'

তবে বাড়তি রিলিজ ক্লজের ফাঁদে লেভাকে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখার চেষ্টা করছে বায়ার্ন। তার জন্য ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড চায় তারা। এ তারকার সম্ভাব্য গন্তব্য বার্সেলোনা। আর সাম্প্রতিক সময়ের আর্থিক ঘাটতির কারণে তাকে পেতে এ পরিমাণ অর্থ কাতালানদের খরচ করার সামর্থ্য নেই বললেই চলে। তবে লেভা আশা করছেন এমন কিছু করবে না ক্লাবটি, 'এর কোনো মানে নাই। তো সময় পর তো অবশ্যই না। এত সফল পথের পরে এবং আমার প্রস্তুতি এবং সমর্থনের জন্য, এই আনুগত্য এবং সম্মান সম্ভবত এই ব্যবসার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

তবে লেভার জন্য একটা পথ খোলা রয়েছে। 'ওয়েবস্টার রুলিং' চালু করলেই ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ছাড়তে পারবেন ক্লাব। ফিফার নিয়মকানুনের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ফুটবলার যদি ২৮ বছর বয়সের আগে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন, তাহলে ওই চুক্তির তিন বছর পর সংশ্লিষ্ট ক্লাবকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তিনি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিপাকে পরে যাবে বায়ার্ন। তবে এমন কিছুর আগে দুই পক্ষ থেকে সহজ সমাধান প্রত্যাশা করছেন এ পোলিশ তারকা।

Comments

The Daily Star  | English

How Bangladesh can absorb tariff shock

New US tariffs challenge RMG sector, but global competitive edge holds

3h ago