ম্যানইউতে দ্বিতীয় অভিষেকে 'নার্ভাস' ছিলেন রোনালদো

কদিন আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে গড়েছেন নতুন ইতিহাস। এক বিশ্বকাপ ছাড়া ক্যারিয়ারে প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছেন। বয়সটা ৩৭ হতে আর চার মাসও বাকি নেই। এমন একজন খেলোয়াড় কি-না ক্লাবের হয়ে মাঠে নামার দিনে নার্ভাস ছিলেন। তাও যে ক্লাবের হয়ে আগেও খেলেছেন। আর এটাই সত্যি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দ্বিতীয় অভিষেকের দিনে নার্ভাস ছিলেন তা নিজেই জানিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
২০০৩ সালে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছিলেন রোনালদো। এরপর ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার আগে ছয় মৌসুম দলটির হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে সেখান থেকে জুভেন্টাস ঘুরে আবার ফিরেছেন ম্যানইউতে। আর এ সময়ে অনেক কিছুর বদল হয়েছে রেড ডেভিলদের। এক সময়ে দাপট দেখিয়ে একের পর এক শিরোপা জয় করা দলটি অনেক বছর থেকেই থাকছে শিরোপাশূন্য। তাই রোনালদোর কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ ছিল অনেক উঁচুতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগেছেন তিনি।
তবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে দারুণ খুশি রোনালদো। ম্যাচ শেষে বিবিসি স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'এটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচ শুরু করার সময় আমার খুব নার্ভাস লাগছিল। এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া আমি আশা করতে পারিনি যে তারা পুরো ম্যাচে আমার নামে গান গাইবে। নার্ভাস না থাকলেও সেটা আমি বুঝতে দিতে পারতাম না। তারা যেভাবে আমাকে বরণ করে নিয়েছে সেটা এক কথায় অসাধারণ।'
আগের দিন ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রায় পুরোটা জুড়েই সমর্থকদের গায়ে ছিল রোনালদো নামের জার্সি। আর ম্যাচের পুরোটা সময়ে তার জয়ধ্বনি করেছেন তারা। সবমিলিয়ে অবিশ্বাস্যই লাগছে তার, 'সমর্থকেরা আজ (গতকাল) আমার সঙ্গে যা করেছে, তাদের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে গর্বিত মনে হয়েছে। আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য এক মুহূর্ত। আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। ভাবছিলাম আমি ভালো খেলতে চাই আর দলকে যে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার আছে সেটা দেখাতে চাই।'
শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের নিউক্যাসেলের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে রোনালদোরা। দলের হয়ে প্রথম দুটি গোলই আসে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ পর্তুগিজ তারকার পা থেকে। দুটি গোল করবেন এমনটা নিজেও ভাবেননি রোনালদো, 'দুই গোল করব বলে আশা করিনি আমি। একটা গোল পাব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু দুটি গোল পাওয়ার আশা আমি করিনি।'
Comments