'ম্যানসিটির এই শিরোপা ইউক্রেনের জনগণের জন্য'

সতীর্থ সবাই যখন নাটকীয় এক ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখার উদযাপনে ব্যস্ত, তখন কেঁদেই বুক ভাসাচ্ছিলেন ওলেকজান্দার জিনচেঙ্কো। কারণ রাশিয়ান আগ্রাসনে তখনও যে জ্বলছে তার দেশ। পারেননি নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এক পর্যায়ে নিজ দেশ ইউক্রেনের পতাকা দিয়ে ট্রফিকে তো জড়িয়েই দিলেন। এরপর জানিয়ে দিলেন এই শিরোপা তার দেশের জনগণের জন্য।
নাটকীয় এক ম্যাচ শেষে আগের দিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত অ্যাস্টন ভিলার কাছে দুই গোলে পিছিয়ে ছিল দলটি। এরপর মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোল আদায় করে নেয় তারা। ফলে উলভসকে হারিয়েও লাভ হয়নি লিভারপুলের। শিরোপা যায় সিটিজেনদের ঘরে।
তবে সিটির এ জয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে দলের জয়ে স্পষ্ট অবদান রেখেছেন জিনচেঙ্কো। সমতাসূচক গোলের তো যোগানদাতাই এ ডিফেন্ডার। ম্যাচ শেষে এটাকে ইউক্রেনবাসীদের জয় বলেই জানালেন এ তারকা, 'এই শিরোপা ইউক্রেনের জনগণের জন্য'
'আমার জন্য অবিস্মরণীয় আবেগের মুহূর্ত। এটা সকল ইউক্রেনীয়দের জন্য যারা রাশিয়ান আগ্রাসনের কারণে এই মুহূর্তে ক্ষুধার্ত এবং আমার দেশে বেঁচে আছে। আমি ইউক্রেনীয় হতে পেরে এবং ইউক্রেনের জন্য এই শিরোপা আনতে পেরে খুব গর্বিত। সকল ইউক্রেনীয় মানুষের জন্য কারণ তারা এটার প্রাপ্য।'
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নির্দেশে হামলা শুরু করে তারা। বিভিন্ন শহর ও সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা বা গোলাবর্ষণ করে। যা এখনও চলছে।
'আমার কাছে এটার মানে সবকিছু - আমি এই মানুষদের জন্য মরতে পারব এবং তাদের সমর্থনের জন্য। মানুষ আমাকে যা দিয়েছে এবং এই সময়ে তারা আমার জন্য যা করেছে, আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়, আমি অনেক কৃতজ্ঞ এবং আমি এটা কখনও ভুলব না, জীবনেও না।
নিজ দেশের এ যুদ্ধের কারণে এক সময় ফুটবল নিয়েই ভাবতে পারেননি এ তরুণ, 'একটা সময়ে, যুদ্ধের শুরুতে আমি ফুটবল নিয়ে ভাবিনি কারণ আমার দেশে কী ঘটছে তা জেনে বেঁচে থাকা অনেকটাই অসম্ভব। তবে সবার সমর্থনে আমি এটা করতে পেরেছি, আমরা এটা করেছি। আমি আশা করি আমরা চালিয়ে যাব কারণ এই অসাধারণ ক্লাবটি এটার যোগ্য।'
Comments