রোনালদোদের মতো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে না তো মিলানে?

ডি-বক্সের সামনে রোনালদো নাজারিও। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক একা। ডান দিকে ঘুরে শট নিতে যাবেন। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে আটকে যায় তার হাঁটু। মাটিতে পরে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে ম্যাচ শেষে সেদিন কাঁদতে হয়ে পুরো ইন্টার মিলান শিবিরকে।
ঘটনটা ২০০১-০২ মৌসুমের। ১১ বছর পর সিরিআর শিরোপার দুয়ারে ইন্টার। জুভেন্টাসের চেয়ে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ দিনে লাৎসিওর মাঠে খেলতে যায় তারা। ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় পর রোনালদোর দিকে তাকিয়ে ছিল নেরারুজ্জিরা। কিন্তু ফের ইনজুরিতে পড়েন এ ব্রাজিলিয়ান।
যদিও ম্যাচে তখনই ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইন্টার। তবে ৭৭তম মিনিটে রোনালদো যদি সেই গোলটি করতে পারতেন চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো বলেই বিশ্বাস করে ইন্টার ভক্তরা। উল্টো সেই হারে তারা টেবিলের তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করতে হয় দলটিকে। একই সময়ে উদিনেসেকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জুভেন্টাস। দুই পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা রোমাও তোরিনোকে হারিয়ে রানার্সআপ হয়।
এখন পর্যন্ত ২৮ বার শেষ দিনে নিষ্পত্তি হয়েছে ইতালিয়ান লিগ সিরিআয়। তবে ২০০১-০২ মৌসুমের মতো এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে খুব কমই। কাকতালীয়ভাবে দুই দশক পর এবার তাদের অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে আছে মিলান। আর মিলানও অপেক্ষা করে আছে ১১ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর।
এবার অবশ্য সিরিআয় শুরু থেকেই লড়াইটা বেশ জমে উঠে। শুরুতে টেবিলে এগিয়ে ছিল মিলানই। পরে তাদের টপকে যায় ইন্টার। কিন্তু ফের তাদের পেছনে ফেলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা। কিন্তু তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে যাচ্ছে ইন্টার। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগের ফয়সালা হবে এখন শেষ দিনে।
আর শেষ দিনে মিলানকে খেলতে যেতে হবে সাসসুওলোর মাঠে। পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে থাকলেও এবার বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ম্যাচ খেলেছে দলটি। অন্যদিকে ইন্টারের প্রতিপক্ষ কিছুটা সহজ। ঘরের মাঠে তারা খেলবে লিগ জুড়ে অবনমন অঞ্চলে থেকে লড়াই করা সাম্পাদোরিয়ার বিপক্ষে।
অবশ্য, ২০০৭-০৮ মৌসুমেও একই পরিস্থিতিতে পড়েছিল ইন্টার। পার্মার মাঠে যাওয়ার আগে জুভেন্টাসের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে ছিল তারা। তবে সেবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে দেননি। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। জোড়া গোল করে দলকে এনে দিয়েছিলেন ২-০ ব্যবধানের জয়। ১৪ বছর পর সেই ইব্রা এবার খেলছেন মিলানে। এবারও কি পার্থক্য গড়বেন তিনিই?
Comments