লুকাকুকে পেতে দিবালার আলোচনা আটকে রেখেছে ইন্টার

সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমের খেলা শেষ না হতেই ইন্টার মিলানের সঙ্গে আলোচনা অনেকটা এগিয়ে রেখেছিলেন পাওলো দিবালা। পরিবার থেকেও ইতিবাচক ইঙ্গিত থাকায় চুক্তি হওয়া সময়ের ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এর মাঝেই রোমালু লুকাকুকে ধারে পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করে চেলসি। তখন থেকে এ বেলজিয়ানকে পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে নেরারুজ্জিরা। যে কারণে আপাতত দিবালার সঙ্গে আলোচনা আটকে রেখেছে ক্লাবটি।

জুভেন্টাসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করায় জুনের শেষেই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাচ্ছেন দিবালা দিবালা। তার এজেন্টের সঙ্গে দুই সপ্তাহ আগেই আলোচনা চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে নানা গুঞ্জনও উঠে আসছে ফুটবল মহলে। স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়ার সংবাদ অনুযায়ী, বর্তমানে ইন্টারের মূল লক্ষ্য লুকাকুকে ফেরানো। আর চেলসির সঙ্গে তাদের আলোচনাও এগিয়েছে অনেক। তাই দিবালা প্রসঙ্গে আলোচনা থামিয়ে রেখেছে তারা।

সংবাদ অনুযায়ী, লুকাকুর জন্য চেলসিকে ফের নতুন প্রস্তাব তৈরি করছে ইন্টার। সাবেক স্ট্রাইকারকে ফেরাতে বোনাস ছাড়াও ৭ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে তারা। এর আগে তাদের ৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ব্লুজরা। অথচ গত মৌসুমেই ১১৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংলিশ ক্লাবটিতে এ তারকাকে বিক্রি করে দিয়েছিল নেরারুজ্জিরা। চেলসিতে বাজে এক মৌসুম কাটানোর পর ইন্টারে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছেন লুকাকুও।

এদিকে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো জানিয়েছে, আলোচনা চূড়ান্ত হলেও দিবালার এজেন্ট হোর্হে আন্তুনের দাবি করা এজেন্ট ফি দিতে চাইছে না ইন্টার। যে কারণে চুক্তি এখনও ঝুলে আছে। তবে ইন্টারের প্রধান নির্বাহী বেপ্পে মোরাতা জানিয়েছেন, এ গ্রীষ্মে লুকাকু ও দিবালা দুই তারকাই ইন্টারের প্রধান লক্ষ্য।

এর আগে জুভেন্টাসের সঙ্গেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গিয়েছিল দিবালার। প্রাথমিকভাবে বেতন হিসেবে বার্ষিক ৮০ লাখ ইউরো ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বোনাস হিসেবে আরও ২০ লাখ ইউরোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দিবালাকে। সেসবে রাজীও হয়েছিলেন এ আর্জেন্টাইন। তবে জানুয়ারিতে ফিওরেন্তিনা থেকে সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়ে দলে টানার দিবালাকে কিছু কম বেতন নিতে অনুরোধ করে দলটি। অঙ্গীকার ভঙ্গ করায় ওল্ড লেডিদের সঙ্গে আর চুক্তি করেননি এ আর্জেন্টাইন।

Comments

The Daily Star  | English
Technical education hit by teacher shortage

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago