২০২০ সালের ব্যালন ডি'অর লেভানদভস্কির প্রাপ্য: মেসি
ভাগ্যের এটাই নির্মম খেলা। ২০২০ সালে কি অসাধারণ পারফরম্যান্সই না করলেন রবার্ট লেভানদভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবল জেতানোর মূল কারিগরই ছিলেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছর ব্যালন ডি'অর দেয়নি ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। তবে টানা সপ্তমবার ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসি প্রত্যাশা করছেন গত বছরের পুরষ্কারটি যেন দেওয়া হয় লেভানদভস্কিকে।
মঙ্গলবার রাতে প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নিজের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করে ২০২১ সালের ব্যালন ডি'অর জিতে নেন মেসি। এবার তার সঙ্গে দারুণ লড়াইয়ে ছিলেন লেভানদভস্কি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সপ্তমবারের মতো এ পুরষ্কার হাতে তুলে নেন মেসিই।
কিন্তু এর আগের মৌসুমের পারফরম্যান্স বিচার করলে মেসির চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন লেভা। ২০২০ সালটা স্বপ্নের কেটেছে এ পোলিশ তারকার। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে বায়ার্নের হয়ে লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান কাপসহ ট্রেবল জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েন। বুন্ডেসলিগায় সেরা গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু সে ধারাবাহিকতা গত মৌসুমে ধরে রাখতে পারেননি। যদিও বরাবরের মতো বুন্ডেসলিগায় দারুণ সময় কাটিয়েছেন। মাত্র ২৯ ম্যাচে করেছেন ৪১ গোল করে কিংবদন্তি জার্ড মুলারের রেকর্ড ভেঙেছেন। জিতেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুও। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেননি। এমনকি জাতীয় দলের হয়েও পারফরম্যান্স সে অর্থে ভালো ছিল না। তাতেই পিছিয়ে পড়েন তিনি।
২০২০ সালের ব্যালন ডি'অর লেভাকে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন মেসি, 'আমি রবার্টকে কিছু বলতে চাই। ওর সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা ছিল দারুণ সম্মানের ব্যাপার। সবাই জানে এবং আমরা সবাই মানি গত বছর ওই সেরা খেলোয়াড় ছিল। আমার মনে হয় ফ্রান্স ফুটবল ওকে ২০২০ সালের জন্য এই পুরষ্কার দিতে পারে। তুমি ব্যালন ডি'অর প্রাপ্য। আমি বিশ্বাস করি তোমার বাড়িতেও এটা থাকা উচিত।'
তবে নিজে সপ্তমবার এ পুরষ্কার জিতে দারুণ খুশি এ আর্জেন্টাইন, 'আমি আবার ফ্রান্স ফুটবল ব্যালন ডি'অর জিতে সত্যিই গর্বিত। সপ্তমবারের জন্য এটি জয় করা অবিশ্বাস্য। আমি আমার পরিবার, আমার বন্ধুদের এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে এবং সবসময় যারা আমাকে সমর্থন করে তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তাদের ছাড়া আমি এটি করতে পারতাম না।'
Comments