উদযাপনের ভিড়ে কেন স্থবির হয়ে বসেছিলেন নিশাম?

jimmy neesham
দলের জয়ের পরও ভাবলেশহীন জিমি নিশাম (গোল চিহ্নিত)। ছবি- সংগ্রহ

১১ বলে ৩ ছক্কায় জিমি নিশাম ২৭ করে আউট হয়ে ফেরার সময়েও ছিল শঙ্কা। তবে সেটা কাটিয়ে ড্যারেল মিচেল যখন জয় নিশ্চিত করছেন, উদযাপনে মাতোয়ারা গোটা নিউজিল্যান্ডের ডাগআউট। অথচ সবার আনন্দের মাঝে নিশামকে দেখা গেল নির্বিকার বসে থাকতে, চেহারাও ছিল ভাবলেশহীন। পরে অবশ্য জানিয়েছেন কারণ।

দুই বছর আগেও নায়ক হতে হয়ে ট্রাজেডির চরিত্র হতে হয়েছিল নিশামকে। লর্ডসে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের সুপার ওভারে প্রথম ৫ বল খেলে এক ছক্কায় তুলেছিলেন ১৪ রান। কিন্তু শেষ বলে ২ রানের সমীকরণ আর মেলেনি। ২ রান নিতে গিয়ে গাপটিল রান আউট হওয়াতে সুপার ওভারও হয় টাই। তবে বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মে নিউজিল্যান্ডকে আক্ষেপে পুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড।

সেদিন ভগ্নহৃদয়ে টুইটারে দেওয়া তার পোস্ট হয়েছিল ভাইরাল, লিখেছিলেন, 'বাচ্চারা তোমরা খেলাধুলোয় এসো না। বেকিং অথবা অন্য কিছু করো। আনন্দে থাক এবং ৬০ বছর বয়েসে মারা যাও।'

সেই ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপের আরেক মঞ্চে হারানোর সুখে তো উদ্বেলই হওয়ার কথা। নিশামের কি হলো! উদযাপনের ভিড়ে তার স্থবির হয়ে বসে থাকার ছবি পোস্ট করে ইএসপিএন ক্রিকইনফো ক্যাপশন দেয়- 'নিশাম একদম নড়েননি।' ওই পোস্ট রিটুইট করে আসল মনোভাব ব্যাখ্যা করে দেন নিশাম, 'কাজ কি শেষ হয়েছে? আমার তো মনে হয় না।'

অর্থাৎ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও এখনো তো চ্যাম্পিয়ন হয়নি নিউজিল্যান্ড। আরেকটি ম্যাচ জেতা বাকি। লর্ডসের ক্ষতে প্রলেপ পড়তে হয়তো ট্রফিই হতে পারে সেরা উপশম। নিশামের ইঙ্গিত সেদিকেই। এখনি উদযাপনে মাতোয়ারা না হতেই তাই মনস্থির করেছেন তিনি।

বুধবার আবুধাবিতে ম্যাচের কিছু দৃশ্যে মিলেছে লর্ডসের সেই ফাইনালের ছবি। সেদিন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ নিতে গিয়ে ছক্কা বানিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। একই ঘটনা এবার উল্টোদিকে হলো। নিশামের ক্যাচ ধরতে গিয়ে ছক্কা বানিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। সেদিন সুপার  ওভারে নিশাম যেমন মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ব্যাট করেছিলেন তাকে এদিনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাওয়া গেছে একই ভূমিকা। তফাৎ হচ্ছে এবার জয়ী দলটা নিউজিল্যান্ড।

১৪ নভেম্বর  ফাইনাল জিতেই হয়তবা দেখা যেতে পারে নিশামদের আসল উদযাপন।

Comments

The Daily Star  | English

Muslin’s revival weaves past into present

On a golden summer morning in Rupganj, Narayanganj, the sound of handlooms echoes from tin-roofed sheds nestled amid winding village paths and open fields.

16h ago