মহারাজের দাপটে বাংলাদেশের অস্বস্তি
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ভাল বল করছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমদ। এই সেশনে প্রথম উইকেটও আনলেন তিনি। তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে চাপ রাখতে চাইলেন মুমিনুল হক। তবে আরেক পাশে বাকিদের আলগা বোলিংয়ে দ্রুত দলের রান বাড়ান কেশব মহারাজ। ভিয়ান মুল্ডারের সঙ্গে তার বিপদজনক জুটি তাইজুল ইসলাম ভাঙলেও ম্যাচে স্বাগতিকদেরই দাপট।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্পষ্ট দাপট প্রোটিয়াদের। শনিবার সকালের সেশনে ২৫ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তুলেছে তারা। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি ৭ উইকেটে ৩৮৪।
আট নেমে আগ্রাসী ফিফটি তুলে মহারাজ অপরাজিত আছেন ৬১ বলে ৫৫ রানে। আরেক পাশে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকা ভিয়ান মুল্ডার তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৭৭ বলে ৩৩ রান। মহারাজের সঙ্গে যোগ দেওয়া সাইমন হার্মারও বেশ জুতসই ব্যাট করেন।
দিনের শুরুটা সতর্ক পথে করেন কাইল ভেরেইনা-মুল্ডার। প্রথম আধঘন্টায় কোন বিপর্যয়ে পড়তে হয়নি তাদের। তবে এরমাঝে খালেদ শরীরী ভাষায় দেখান ঝাঁজ। একটি বল ডিফেন্স করার পর ভেরেইনা ক্রিজে থাকলেও তিনি থ্রো করে বসেন। সতীর্থ ও আম্পায়াররা এসে পরিস্থিতি সামলান।
এই ঘটনার পর খালেদকে স্কয়ার কাট করেছিলেন ভেরেইনা। তবে শেষ পর্যন্ত জয় হয় খালদেরই। দারুণ এক ভেতরে ঢোকা বলে উড়ে যায় ভেরেইনার স্টাম্প। তিনশো পার করে ৬ষ্ট উইকেট হারায় সফরকারীরা। খালেদ ধরেন তৃতীয় শিকার।
আগের দিন দারুণ বল করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। এদিন তাকে দেখা গেল নিজের ছায়া। তাইজুলের আলগা বলের ফায়দা উঠিয়ে চার-ছয়ে মাতেন মহারাজ। ৫০ বলে চার বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করে ফেলেন তিনি।
প্রথম ঘন্টার পর বল হাতে পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন মলিন। তার বল থেকেও খসেছে বেশ কিছু রান। খালেদের মতো ঝাঁজ দ্বিতীয় দিনেও দেখাতে পারেননি ইবাদত হোসেন।
হতাশা যখন একদম পেয়ে বসেছে, তখনই আসে উইকেট। তাইজুলের হালকা টার্ন করা বল ঠেকাতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন মুল্ডার। ইনিংসে চতুর্থ শিকার ধরেন তাইজুল। এতে ভাঙে সপ্তম উইকেটে ১০০ বলে ৮০ রানের জুটি। তাতে কিছুটা সান্ত্বনা থাকলেও স্বাগতিকদের রান চারশো ছাড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে মুমিনুলদের।
Comments